সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি প্রবেশিকা নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চব্বিশ ঘণ্টা আগেই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একবার চিঠি লিখেছিলেন তিনি। ফের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা পিছনের জন্য চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা আবহে নিট ও জেইই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিভাবক সকলে।

এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়ার পরেও পরীক্ষাকেন্দ্রের বন্দোবস্ত নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যকে চিঠি দেন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ।

এতে ক্ষুব্দ মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন। আবেদন করলেন, পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্র যাতে রিভিউ পিটিশান দাখিল করে।

উল্লেখ্য, আগের চিঠিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন,পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আপাতত ওই দু’টি পরীক্ষা যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অনুরোধ ছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত যেন পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে বাধ্য না-করা হয়।

যদিও এরপরেও এইসব আপত্তিতে কান দিতে রাজি নয় কেন্দ্র। ইতিমধ্যে পরীক্ষা নিয়ে গাইডলাইন জারি করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি । তাদের জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের গ্লাভস, মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক।

পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের স্যানিটাইজার ও নিজের আলাদা জলের বোতল নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে থার্মাল স্ক্যানিং করা হবে।

কোনও শিক্ষার্থীর যদি শরীরের তাপমাত্রা ৯৯.৪ ডিগ্রির বেশি হলে তাঁদের আইসোলেশনে রেখে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষায় বসার আগে সেলফ ডিক্লেয়ারেশন করতে হবে। তবে যাঁরা কনটেইনমেন্ট জোনে রয়েছেন, তাঁরা কীভাবে পরীক্ষায় বসবেন, সে সম্পর্কে এই গাইডলাইনসে কিছু বলা হয়নি।

রাজ্যের কাজের প্রশংসা করে ৪৫ পুর এলাকায় ৪৫ হাজার বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন কেন্দ্রের

এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সিমেস্টার ও চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের উপরে পরীক্ষা চাপিয়ে না-দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন মমতা।

এদিনও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, অতিমারির সময়ে পরীক্ষা বহু ছাত্র-ছাত্রীকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে। যে কারণে আগের চিঠিতে আমলাতান্ত্রিক একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।

কিন্তু তার পরেও সেপ্টেম্বরে জেইই এবং নিট পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত যখন কোভিডের প্রকোপের পাশাপাশি বহু পড়ুয়া মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত।

কেউ যদি ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষার বসতে বাধ্য হন বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে পরীক্ষায় বসতেই না-পারেন, তবে তাতে তাঁর ভবিষ্যতের ক্ষতি।

মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, শীর্ষ আদালতের রায় সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। কাজেই তাঁর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী যেন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্র যাতে রিভিউ পিটিশান দাখিল করে।

সম্পর্কিত পোস্ট