শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় নোটিশের বিরোধিতা করে চিঠি মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নিজের খরচে রাজ্যে গণ টিকাকরণ করতে চেয়ে বুধবারই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের এক চিঠি লিখলেন তিনি।

রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সেমিনার বা সম্মেলন আয়োজনের আগে প্রতিষ্ঠানগুলিকে আগে থেকে কেন্দ্র/ রাজ্যের অনুমোদন নিয়ে তা আয়োজন করতে হবে, সম্প্রতি এমনই নিয়ম জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক।

এবার এই ‘নিয়মে’র বিরোধিতা করে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা।

চিঠিতে তিনি সাফ লিখেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের তরফে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়াই করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা রাজ্যের হাতেই থাকে। তাই এই কীভাবে সেখানেও এই নিয়ম লাগু করা হচ্ছে, তাও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে জানতে চাওয়া হয়।

“ভোটের সময় এলেই বলে বেড়ান গ্যাস দেব, ওটা সত্যি সত্যি গ্যাস”- বিজেপিকে বেনজির আক্রমণ মমতার

মমতার বক্তব্য, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজেদেরও কিছু ক্ষমতা এবং স্বাধীনতা রয়েছে। তাই তাঁরা কীভাবে বিদেশি ইউনিভার্সিটিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করবে সেই ক্ষমতা তাঁদেরই থাকার কথা। জ্ঞান কখনই নির্দিষ্ট দেশ কিংবা জাতি-ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না।’

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “এর মাধ্যমে কি কেন্দ্রীয় সরকার এক দেশ, এক চিন্তাকে আরোপিত করছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির উপর?”

তিনি এও বলেন, “বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মই শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত হয়ে উঠেছে। বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতমও মাধ্যমও। দেশের সংবিধানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও জায়গা রয়েছে। তাই এই ধরণের নিয়ম আরোপের অর্থ হল গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আঘাত হানা। অতএব এই নিয়ম প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশে একাডেমিক এবং বৈজ্ঞানিক মহল আপত্তি জানিয়েছিল। দেশের দুটি বৃহত্তম বিজ্ঞান গবেষণালয়ের তরফে সরকারকে চিঠিও দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে যে এই নিয়ম কার্যকর হলে ‘সমস্ত বৈজ্ঞানিক আলোচনাকে তা থামিয়ে দেবে’।

সম্পর্কিত পোস্ট