ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক মমতার , বাড়ল লক্ষ্মীর ভান্ডারের বরাদ্দ
বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভাতা বাড়ল ১০০০ টাকা। এর জন্য ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। পাশাপাশি এখন থেকে ২০ শতাংশ সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলেও ঘোষণা করলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
রাজ্যের দারিদ্রের হার কমছে বলে বাজেট পেশ করার সময় জানালেন চন্দ্রিমা। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর আগে, ৫৭.৬০ শতাংশ রাজ্যবাসী দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন। তৃণমূল সরকার আসার পর ২ কোটির বেশি মানুষের জীবিকা সংস্থান হয়েছে। ফলে দারিদ্রসীমার নীচের মানুষের সংখ্যা কমে ৮.৬০ শতাংশ হয়েছে বলে জানালেন অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বাড়ল আরও ৪ শতাংশ। মে মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বা মহার্ঘ ভাতা বাড়ল আরও ৪ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী আগেই আরও ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। মাসিক ৫০০ টাকার বদলে মিলবে ১ হাজার টাকা।
তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদের জন্য বরাদ্দ বেড়ে হল ১২০০ টাকা। ১০০ দিনের শ্রমিকের বকেয়া মেটাতে রাজ্য বাজেটে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জব কার্ড আছে এমন শ্রমিকরা পাবেন টাকা। মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন প্রকল্প- ‘সমুদ্র সাথি’। বেকারদের জন্য নতুন প্রকল্প কর্মশ্রী চালু হচ্ছে। বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বড়সড় ঘোষণা। বাড়ল এই প্রকল্পে ভাতা। এফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলার প্রতি মাসে পাবেন ১২০০ টাকা করে। ভা এবার থেকে আর ৫০০ টাকা করে নয়, বরং তার দ্বিগুণ। অর্থাৎ ১০০০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন বাংলার প্রত্যেকটি মহিলা। তা বৃদ্ধিতে খুশি কোটি কোটি উপভোক্তা।
নবান্ন সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে রাজ্যের কোষাগার থেকে মাসিক খরচ হতো ১০৯০ কোটি টাকা। পরে ৯ লক্ষ নতুন করে যুক্ত হওয়ায় ৪৫ কোটি টাকা মাসিক খরচ বাড়ে। তখন অবশ্য ৫০০ টাকা করেই দিত রাজ্য সরকার। এবার থেকে তা বেড়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের কোষাগার থেকেও খরচের পরিমাণ বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।