নোটবন্দি ইস্যুতে ফের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মনমোহন সিং
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ভারতীয় অর্থনীতিতে নোটবন্দির ক্ষত এখনও দগদগে। ফের মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
কেরলের একটি সম্মেলনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনোরকম চিন্তাভাবনা না করেই নোটবন্দি করার জন্যই দেশে বেকারত্বের হার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এমনকি করোনা পরবর্তী সময়েও দেশের কর্মসংস্থানের বেহাল অবস্থার জন্য নোটবন্দিকেই দায়ী করেছেন তিনি।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশজুড়ে নোটবন্দি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী এবং ক্ষতিকারক বলে দাবী করেন মনমোহন সিং।
তিনি আরও বলেন, দেশে বেকারত্বের হার ভয়াবহ। সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রগুলি ভেঙে পড়েছে। এর জন্য পরিকল্পনাহীন নোটবন্দির সিদ্ধান্ত দায়ী বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারতের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা এবং পর্যালোচনা করা। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কোনও আলোচনা করে না।
আরও পড়ুনঃ বামেদের প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখের সম্ভাবনা
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দেশে বেকারত্বের হার সর্বাধিক। ৪৫ বছরে দেশে বেকারত্বের মাপকাঠি এতটাও নীচে নামেনি। এরপর অতিমারীর কারণেও প্রচুর মানুষ কর্মহারা হন। ফলে সেই ক্ষত পূরণ তো দূরে থাক, লকডাউনের সময়ে আরও বেশী মানুষ কাজ হারান। এই সমস্ত কিছু নিয়েই কেরলের রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত ‘প্রতীক্ষা ২০৩০’ সম্মেলনে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। জোর কদমে শুরু হয়েছে প্রচার। ৬ এপ্রিল কেরলে এক দফার নির্বাচন। এর আগে একাধিক বিরোধী নেতা নোটবন্দি ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও কেরলে মুলত লড়াই ইউডিএফ বনাম এলডিএফ। ইউডিএফ জোটের নেতৃত্বে রয়েছে কংগ্রেস।
কেরলে প্রচারে গিয়ে মৎস্য চাষিদের সঙ্গে জাল টানতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। অন্যদিকে প্রচারে নেমছে এলডিএফ। কেরলের বিধানসভার লড়াইয়ে এবারে ইউডিএফের জয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।