বচসা থেকে হাতাহাতি, মন্ত্রী বনাম বিরোধী বিধায়কের দ্বন্দ্বে তোলপাড় বিধানসভা
বিধানসভার মধ্যেই হাতাহাতি সরকার বনাম বিরোধী পক্ষের। শেষমেশ বিধানসভা ওয়াকআউট করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চলছিল অধিবেশন। রাজ্যপালের বাজেট অভিভাষণের ওপর বক্তব্য রাখছিলেন বিধায়করা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে গেল ছবি। বিধানসভার মধ্যেই হাতাহাতি সরকার বনাম বিরোধী পক্ষের। শেষমেশ বিধানসভা ওয়াকআউট করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা।
মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপালের ভাষণের ওপর আলোচনা চলছিল। বিধানসভা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় বর্মন এবং পূর্ণেন্দু বসু। সরকার পক্ষের ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে আলোচনা চলছে আর মাত্র তিন জন মন্ত্রী উপস্থিত?
আরও পড়ুনঃ Budget 2020-21 LIVE: সরাসরি বিধানসভা থেকে
সেই সময়েই বিধানসভার মধ্যে প্রবেশ করছিলেন বরাহনগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়। তাপস রায়ের দিকে দেখে মনোজ চক্রবর্তী চিৎকার করে বলেন, “তাপস তুমি তো পরিষদীয় মন্ত্রী, তাও এতো দেরি?” কংগ্রেস বিধায়কের কথায় বেজায় চটে যান মন্ত্রী তাপস রায়। তেড়ে যান মনোজ চক্রবর্তীর দিকে। এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
ঘটনার সামাল দিতে যান তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তমোনোষ ঘোষ। হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, মন্ত্রীরা যদি এরকম মারামারি শুরু করে তাহলে বিধায়করা কি শিখবে। ঘটনার পর স্পিকারের কাছে মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবী তোলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুধুমাত্র দেরি কেন হল তা জিজ্ঞেস করাতেই এতটা চটলেন মন্ত্রী? স্পিকারের কাছে অনুরোধ করেন মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু বিরোধী পক্ষের কথা না জানায় ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বাম-কংগ্রেস বিধায়করা।
আরও পড়ুনঃ তপশিলি ভোট বড় ফ্যাক্টর, বাজেটে কল্পতরু মমতা
এরপর নিএজ্র কক্ষে কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো এবং সুজন চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার জন্য তৃণমূল মহাসচিবকে বিবৃতি দিতে হবে বলে জানান বিরোধী পক্ষের বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষে তৃণমূল মহাসচিবের বিবৃতির পর এদিন ফের অধিবেশনে যোগ দেয় বিরোধী পক্ষ।