কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক জেনে অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছেন না অনেক বিধায়কই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভায়। তার আগে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দু’দিন কোভিড টেস্ট করা হবে।

বিধায়ক, বিধানসভার কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক সকলের জন্য কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছেন তিনি। এই কারণে ৮ সেপ্টেম্বর দিনভর এবং ৯ সেপ্টেম্বর সকালে কোভিড পরীক্ষার বন্দোবস্ত হয়েছে।

এই খবর পাওয়া মাত্রই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছেন না বেশ কিছু বিধায়ক, বিধানসভা সূত্রে এমনটাই সূত্রের খবর। এই দলে শুধু শাসক দলের বিধায়ক রয়েছেন এমন নয়, রয়েছেন বিরোধী বিধায়করাও।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ কথা মাথায় রেখেই বিধানসভার বিধায়ক বসার ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করেছেন অধ্যক্ষ। ১৭৮ জন বিধানসভার কক্ষে, কিছু বিধায়ক সংবাদমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ গ্যালারিতে। এবং বাকি বিধায়কদের ভিজিটারস গ্যালারিতে বসানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

যাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা । কিন্তু কোভিড পরীক্ষা হবে বলে বেশিরভাগ বিধায়ক অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছেন না।

তৃণমূল বিধায়কদের একাংশের মতে, দূরদূরান্ত থেকে কলকাতায় পৌঁছে বিধায়করা অধিবেশনে যোগ দেবেন। যাত্রাপথেই তাঁদের করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-price-of-eggs-is-also-increasing-in-corona-situation/

উত্তরবঙ্গের এক বিধায়কের কথায়, অনেক সময় কোভিড পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট আসছে। আর বিধানসভায় শুনলাম কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হবে। তাই যদি আমার রিপোর্ট কোনও কারণে ভুল আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে সরকারি হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমি অযথা এসবের সম্মুখীন হতে চাইছি না। নেগেটিভ মানুষের পজেটিভ রিপোর্ট আসার একাধিক ঘটনা আমার জানা। তাই অযথা কোনও ঝুঁকি নিতে আমি পারব না।

দক্ষিণবঙ্গের অপর এক বিরোধী কথায়, নিজেদের মতো করে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়ম করা যেতেই পারত। কিন্তু বিধানসভায় কোভিড পরীক্ষার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা অনেকেই তার সম্মুখীন হতে চাইছেন না। আমি অনেক সতীর্থের সঙ্গে কথা বলেছি। অর্ধেক বিধায়কও বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলেই আমার মনে হচ্ছে।

নদিয়ার এক বিধায়কের কথায়, অধ্যক্ষের উদ্যোগ তারিফযোগ্য। তবে, র‍্যাপিড টেস্ট নিয়েই যত শঙ্কা। করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়েই নতুন করে আবার সংক্রমিত হব না তো। তাই অধিবেশনে আদৌ যাব কিনা ভাবছি।

সম্পর্কিত পোস্ট