প্রয়াত মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক মৃগেন মাইতি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ১ ডিসেম্বর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
সোমবারের মেদিনীপুরের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে এল তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতির নাম। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এদিনের সভায় তিনি হাজির থাকতে পারেননি বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান। এদিন সমাবেশের পর মৃগেন মাইতির বাড়িতে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতি। ঘটিনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
এদিন সভা শেষ হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী খবর পান, প্রয়াত হয়েছেন মৃগেন মাইতি। সেখান থেকে চলে আসেন মৃগেন মাইতির বাড়িতে। বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী সুজাতা মাইতির সঙ্গে কথা বলেন। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন মিনিট দশেকের জন্য। পরে সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মৃগেন দা আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর মরদেহ কলকাতা থেকে নিয়ে আসার জন্য ফিরাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে”। তাছাড়া তাঁর বাড়ির ভাইজি, পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য নির্মল চক্রবর্তী এবং সঞ্জুকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, বুকে নিউমোনিয়া এবং সেফটিপিনিয়া নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক । সোমবার হার্ট অ্যাটাক হলে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করে সিপিআর দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এদিন সকালে ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিধায়ক। দুপুরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
২০১১ এবং ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন মৃগেন মাইতি। ছিলেন মেদিনিপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।। তাছাড়া মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন। রাতে তাঁর মৃতদেহ এসে পৌঁছবে মেদিনীপুরের বাড়িতে।