সরছেন বিমান-সূর্য, CPIM কেন্দ্রীয় কমিটিতে মীনাক্ষীদের পাল্লা ভারি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: আলিমুদ্দিনের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বয়স। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, রাজ্য কমিটির সদস্যদের বয়সসীমা ৭২। এরিয়া কমিটির সদস্যদের বয়স সর্বোচ্চ ৬৫।
এই নয়া বয়স সীমার ফলেই রাজ্য কমিটি থেকে বাদ সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব। সরতে হবে বিমান বসু কেও। কারন তাদের বয়স ৭২ এর কোটা পেরিয়েছে কয়েকদিন আগেই।
সকলকে অবাক করে দিয়ে এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেতে চলেছেন বাংলার তরুণ বাম নেতৃত্বরা।তালিকায় রয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাস, সায়নদীপ মিত্র, মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় ও প্রতীকুর রহমানের নাম।
যদিও বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দলের অন্দরের অনেক পক্ককেশ নেতাই এ প্রস্তাব বিরোধী। তাঁদের দাবি, ৭০ বছর বয়েসে অবসর নিলে দলের মধ্যে যুবদের বাড়বাড়ন্ত বাড়বে। সেক্ষেত্রে নবীন – প্রবীণ দ্বন্দ্ব অবশ্যম্ভাবী।
যদিও প্রবীণ নেতাদের এই মনোভাব পাত্তা দিতে নারাজ শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে পার্টির সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গের মাটিতে বামেদের শোচনীয় দশা নিয়ে আপাদমস্তক বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। এক হাত নিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বকে।
বিজেমূল তত্ত্ব থেকে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে জোট। কোনোটাই মানুষ ঠিক ভাবে নেয়নি। ভোটের ফলাফলের পর এমনটাই মনে করছেন শীর্ষ নেতারা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নবীন নেতাদের সঙ্গে প্রবীণ নেতাদের মত পার্থক্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হতে পারে। বর্তমানে রাজনৈতিক দল ডিজিটাল মাধ্যমকে তাদের প্রতি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরলেও সেই নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বামেরা।
সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হওয়ায় প্রজন্ম সহজেই মানুষের কাছে হতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ র জোট মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাই পরাজিত হয়েছেন তরুণ প্রজন্মের একঝাঁক নেতা-নেত্রী।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে উঠে-পড়ে লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ত্রিপুরার মাটিতে নিজেদের সাম্রাজ্য তৈরি করতে মরিয়া শাসক শিবির। বিজেপিকে হঠাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলকে নৈতিক সমর্থন করছে বামেরা।
তবে ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল কতটা বামেদের সমর্থন পাবে সেখানে রয়েছে বড়োসড়ো প্রশ্ন চিহ্ন। তাই একা লড়াই করতে হলে বামেদের প্রয়োজন ঝাড়াই বাছাই।
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে বামেদের প্রচার নীতিতে বদল আনাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাই পক্বকেশ নেতাদের সরিয়ে সেই জায়গায় তরুন প্রজন্ম ঠাঁই পেলে আখেরে লাভ হবে দলেরই।