কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ব্যবহারের খুঁটিনাটি শেখাতে আর্থিক উপদেষ্টাদের নিয়ে শুভান্নে বৈঠক অর্থমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি খাতেকেন্দ্রীয় বরাদ্দ যাতে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দফতরকে নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ প্রকল্পের খাতে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহৃত না হলে তা ফিরে যায়। ওই তহবিলের জন্য আবেদনের সুযোগ মেলে মাত্র একবার। এই বিষয় গুলি যাতে মাথায় রাখা যায় সে ব্যাপারে অর্থ দফতর অন্যান্য সব দফতরকে সতর্ক করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ব্যবহারের খুঁটিনাটি শেখাতে রাজ্যের সমস্ত দফতরের আর্থিক উপদেষ্টাদের নিয়ে বসেছিল শনিবার বৈঠক ডেকেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। সেখানেই এব্যাপারে আর্থিক উপদেষ্টাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল সল্টলেকের ‘শুভান্ন’ ভবনে।
বৈঠকে আর্থিক উপদেষ্টাদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেই শুরু হয় প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ দেয় বিশেষজ্ঞ দল। নেতৃত্বে ছিলেন অর্থ সচিব মনোজ পন্থ। রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ, কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নিয়েই এই প্রশিক্ষণ। জানা গিয়েছে, এই দিনের বৈঠকের শুরুতেই যাবতীয় গাইডলাইন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অর্থ দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
রাত পোহালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কড়া নিরাপত্তা বিধানসভায়
কেন্দ্রে বরাদ্দ অর্থ পাওয়ার বিশেষ নিয়ম, নির্দিষ্ট সময়, পরিস্থিতি, প্রয়োজন, বদল সম্বন্ধে খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর্থিক উপদেষ্টাদের। এদিনের বৈঠকে উপদেষ্টাদের প্রশিক্ষণের সময়ে বলা হয়েছে, কখন কী বদল হল, আবেদনের ক্ষেত্রেই বা কী পরিবর্তন হয়েছে সেই সম্পর্কে সজাগ থাকতে।
আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের গুরুত্বের দিকে বিশেষ নজর রাখতে। প্রসঙ্গত বিভিন্ন রাজ্যের বরাদ্দের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার চালু করেছে পি-এসএমএস পদ্ধতি। উপযুক্ত প্রক্রিয়া মেনে বরাদ্দ গ্রহণের জন্য থাকে রাজ্যের নোডাল অফিসার।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিভিন্ন প্রকল্পে গুরুত্বের উপর নজর দিয়ে ব্যয় করার কথা বলে থাকেন। রাজ্যের ক্ষেত্রে তিনি ইতিমধ্যেই নিয়ম করেছেন বিভিন্ন জেলা ধরে বরাদ্দের। আবেদন প্রক্রিয়ার পরে ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগও থাকে। আর্থিক উপদেষ্টাদের কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য বিশেষ সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।