ভারতে এখনো থাবা বসায়নি Omicron, তবে সতর্ক কেন্দ্র; সংসদে তথ্য পেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিড-১৯ র নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন (ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট) নিয়ে সতর্ক গোটা বিশ্ব। যদিও ভারতে এখনো পর্যন্ত একটাও ঘটনা ঘটেনি। তবে সরকার তার দিক থেকে সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করছে। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে দেশে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্তের ঘটনা প্রকাশ্য আসেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া আজ রাজ্যসভায় বলেন, “এখন পর্যন্ত দেশে ওমিক্রনের একটিও কেস পাওয়া যায়নি। এ ধরনের কোনো মামলা যাতে সামনে না আসে সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে পুরোপুরি চলে যায়নি। এখন পর্যন্ত ১২৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার, আইসিএমআর-এর এপিডেমিওলজির প্রধান ডাঃ সমীরণ পান্ডা, বলেন, ‘ভারতে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে সনাক্ত হলে অবাক হব না। এটি শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। বেশ কয়েকটি দেশে ওমিক্রনের বিস্তার নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে একটি পর্যালোচনা সভা করেছেন।
পুরভোটে কালো টাকার ব্যবহার রুখতে কঠোর রাজ্য নির্বাচন কমিশন
রাজ্যগুলিকে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের উপর নিবিড় নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে ওমিক্রন ধরা পড়েছে সেখান থেকে আসা প্রতিটি যাত্রীর বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরামর্শে আরও বলা হয়, হটস্পটের সমস্ত ইতিবাচক নমুনা ল্যাবে পাঠাতে হবে। এসময় হাসপাতালের পরিকাঠামো ভালো রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েল থেকে আগত যাত্রীদের কড়া নজরের তালিকায় রেখেছে ভারত।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, যাদের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, তাদেরও সাত দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অষ্টম দিনে তাদের আবার পরীক্ষা করা হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকাভুক্ত নয় এবং যাদের রিপোর্ট নেতিবাচক এসেছে, এমন দেশ থেকে আসা লোকদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।