Minakshi Mukherjee :মীনাক্ষীকে আন্দোলনের ‘মুখ’ করে তোলায় মমতা সরকারের অবদান অনিস্বীকার্য!
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুরভোটে রাজ্যজুড়ে বিজেপির যতই ভরাডুবি হোক না কেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা এখনও বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় নাম। কিন্তু বিরোধী শিবিরের আন্দোলনের মুখে হলেন সিপিএমের মীনাক্ষী মুখার্জি ( Minakshi Mukherjee )।
এই বিষয়টি আজ আর জল্পনা-কল্পনা নয়, প্রতিষ্ঠিত সত্য। আর মীনাক্ষীকে( Minakshi Mukherjee ) এই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছে রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশ! বলাই যায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
জ্যোতি বসু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান। তাঁর আমলেই ২১ শেষ জুলাই ঘটে। যার প্রভাব নন্দীগ্রাম আন্দোলনকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু জ্যোতি বসুর ‘উপেক্ষা’ নীতির কারণেই সম্ভবত বিষয়টি আলোড়ন ফেললেও ব্যাপক প্রভাব তৈরি করতে পারেনি।
Minakshi Mukherjee : পুলিশের লাঠির বাড়িতে দেহে অসংখ্য আঘাত, মমতা থেকে মীনাক্ষী ‘হিস্ট্রি রিপিটস’!
যত লড়াই-আন্দোলন করুন না কেন, আলাদা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে গুরুত্ব দিতে চাইতেন না জ্যোতি বসু। সম্ভবত তাঁর নির্দেশেই রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ কিছুটা উপেক্ষা করত। প্রশাসন না তাকে লাগামছাড়া আন্দোলন করতে দিত, আবার না তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ করত।
জ্যোতি বসুর সরকারের এই ভূমিকার কারণেই মানুষের ভাবাবেগ খুব একটা আহত হয়নি। কিন্তু বাম সরকারের কর্তৃত্বের ব্যাটন পরিবর্তনের পর ২০০৬ সালে সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি ঘটে তাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশাসন আগের নীতি থেকে সরে এসেছিল।
Minakshi Mukherjee
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় সড়ক আটকে টানা অনশন আন্দোলন চালিয়ে যেতে দিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। আজও এই নিয়ে আফসোস করেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। তাদের একটা বড় অংশের মতে সেদিন যদি গোড়াতেই আন্দোলন ভেস্তে দেওয়া হতো তবে কখনোই সিঙ্গুরকে হাতিয়ার করে বড় কিছু করতে পারতেন না তৃণমূল নেত্রী!
এই আক্ষেপকারীদের মূল দাবি হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনশনে বসতে দিয়ে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। তার পরিণতিতেই ২০১১ সালে পতন ঘটে বাম জামানার।
মীনাক্ষী মুখার্জিকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সম্ভবত একই ভুল করতে চলেছে। একের পর এক আন্দোলনে মীনাক্ষীকে টার্গেট করছে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ। আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে আন্দোলন করায় মীনাক্ষী মুখার্জিকে গ্রেফতার করে আইনের মারপ্যাঁচে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দিয়ে সবচেয়ে বড় ভুল করেছে রাজ্য পুলিশ।
এর ফলে মীনাক্ষী যেমন প্রচারের সব আলো কেড়ে নিচ্ছেন, তেমনই তাঁকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাবাবেগ তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। সব দেখে মনে হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পথেই ক্রমশ পা বাড়াচ্ছে মমতা সরকার। আগামী দিনে এর জন্য বড় মাসুল চোকাতে হতে পারে।