Minakshi Mukherjee : পুলিশের লাঠির বাড়িতে দেহে অসংখ্য আঘাত, মমতা থেকে মীনাক্ষী ‘হিস্ট্রি রিপিটস’!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অতি বিরল ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে। এমনটা সাম্প্রতিক অতীতে বাংলার রাজনীতিতে ঘটেনি। কি ঘটনা? উত্তর খুঁজতে হলে স্মৃতির সরণি বেয়ে প্রায় আড়াই দশক পিছু হটতে হবে। আড়াই দশক আগে পুলিশের বেধড়ক মারে জখম হয়েছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের একেবারে শীর্ষস্থানীয় কোনও নেতা বা নেত্রীকে বেদম মার মেরেছে পুলিশ এই নজির তেমন একটা নেই। কিন্তু মীনাক্ষী মুখার্জির ( Minakshi Mukherjee ) হাত ধরে বাংলায় আবার ফিরে এল মমতার স্মৃতি। গুরুতর আঘাত নিয়ে হাজতবাস করছেন ক্রমশ আইকন হয়ে ওঠা এই বাম নেত্রী।
সোমবার জজ সাহেব মীনাক্ষীদের ( Minakshi Mukherjee ) চারদিনের হাজতবাসের নির্দেশ দেওয়ার পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। মীনাক্ষীদের ( Minakshi Mukherjee )আইনজীবী মিহির বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিচারকের নির্দেশে দ্বিতীয়বার পুলিশ মেডিকেল টেস্ট করতে বাধ্য হয়েছিল। তাতে মীনাক্ষী সহ বাকি ধৃতদের দেহে গুরুতর আঘাত পাওয়া গিয়েছে।
Minakshi Mukherjee
শুধুমাত্র মীনাক্ষী মুখার্জির শরীরে ছয় জায়গায় গুরুতর আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই মেডিকেল রিপোর্টে। পিঠে, কোমরে ভালোমতো আঘাত নিয়ে জেল যাপন করছেন এই সিপিএম নেত্রী।
আইনের রক্ষক নাকি শাসকের প্রচার শাখা? পুলিশের রাজনৈতিক অবস্থানে তীব্র হচ্ছে বিতর্ক
তবে দেহে আঘাত থাকলেও মন এতোটুকু টাল খায়নি ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদকের। জেলে ফিরে যাওয়ার পথেই প্রিজন ভ্যানে বসে বলেছেন, এইভাবে সরকার আন্দোলন দমাতে পারবে না। মঙ্গলবার বাম ছাত্র-যুবরা কলেজ স্ট্রিটে যে বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছে তা চূড়ান্তভাবে সফল করার কথা বলেন তিনি।
মাথায় পুলিশের লাঠির বাড়ি নিয়েও লড়াইয়ের ময়দানে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মীনাক্ষীও কিন্তু একাধিক আঘাত নিয়ে মানসিকভাবে উজ্জীবিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আড়ালে বলছেন, একেই বলে ‘হিস্ট্রি রিপিটস’!