ফোনে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন মন্ত্রী-বিধায়করা ! ভরসা তাই হোয়াটস অ্যাপে কল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নবান্ন অভিযানের মধ্য দিয়ে করোনা ও দুর্গাপুজোর আবহে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের ঢেউ তুলে দিল বিজেপি। তৃণমূল নাকি বিজেপি, নাকি বাম-কংগ্রেস জোট? ভোট পাল্লা কার পক্ষে ভারী, সেই লড়াই এবার হবে জমজমাট।
বিজেপি ভার্চুয়ালি সভা আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে। প্রথমে সমালোচনা করলেও এবার সেই পথেই হাঁটছেন মমতা। ২১ জুলাই হোক বা প্রশাসনিক বৈঠক। বা করোনা আবহে দুর্গাপুজো নিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ। সবেতেই ভার্চুয়ালকেই অবলম্বন করছেন। বহুদিন পর উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মুখমন্ত্রী। এতে তাঁর কিছুটা হাওয়া বদল হল। তবে তাঁর স্বপ্নের উত্তরবঙ্গ রাজনৈতিক হাওয়া কিন্ত অনুকূল নয়। তা হাড়ে হাড়ে বোঝা যাচ্ছে।
জঙ্গলমহলে গিয়েও প্রশাসনিক সভার মাধ্যমে সয়েল টেস্ট করে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে যে জঙ্গলমহলকে তিনি ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর, তারাই কিন্ত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাই সাধের উত্তরবঙ্গ আর জঙ্গলমহলেই আপাতভাবে ফোকাস রাখছেন মমতা।
তবে উপর থেকে যতই তৃণমূল দেখাক না মাদার-যুব সমন্বয়ে তারা লড়বেন, আদতে বাস্তব বলছে অন্য কথা। ভোটের দেরী ৮ মাস। তার আগে থেকেই তৃণমূল বনাম তৃণমূল লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২১ এ বিরোধী দলের পাশাপাশি তৃণমূলকে লড়তে হবে নিজ দলের অন্দরেও। এটাই হবে নয়া পলিটিক্যাল যুদ্ধ।
এই কঠিন সত্যটা মুখ্যমন্ত্রীর জানা। তাঁর কথা নাকি এখন কেউ শুনতে চাইছে না। এটা তাঁর নিজেরই আক্ষেপ করে বলা। কিন্ত কার বুকের এত পাটা যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীকে অবহেলা করবে? দলের ভিতরে চলছে দলীয় লড়াই।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/all-tourist-centers-in-the-sundarbans-of-bangladesh-are-opening-from-november-1/
করোনা পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে তিনি কাজ করলেও তাঁর অনুগত সৈনিকরা কয়েকজন ছাড়া অনেকেই ঘরে বসে কাটিয়ে দিয়েছন। এখন অবশ্য অনেকে মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। জীবিতকে মৃত বলে শোকবার্তাও প্রকাশ করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে নেন ।
এসবের মাঝেই নতুন করে বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তৃণমূলের অন্দরে দলীয় কর্মী-বিধায়ক-মন্ত্রীরা নাকি মুখ্যমন্ত্রীর ভয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন?
তৃণমূলের অন্দের একাংশের কথায়, এখন চারদিকে চলছে দলবদলের হিড়িক। রাজনৈতিক পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর অনুকূলে যে নয়, সেটা তিনি বেশে ভালই বুঝতে পারছেন। তাই আগে থেকেই আঁটঘাট শক্ত করে বেঁধে নিতে চাইছেন তিনি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ফোন কল নয়, বরং বাধ্য হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা চালাচ্ছেন। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ কল ট্যাপ করার স্কোপ কম।
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য বলছে, এই মুখমন্ত্রীই একসময়য়ে অভিযোগ করতেন তাঁর ফোন কল ট্যাপ করছে কেন্দ্র। বিভিন্ন সংস্থাকে এই সরকারের বিরুদ্ধে লাগানো হয়েছে। অথচ সেই অভিযোগেই এখন বিদ্ধ খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/suvendu-adhikari-bijaya-sammilani-saffron-card/
তাদের মতে, মমতার নিজের হাতে সাজানো বাগান যেন আশ্বিনেই এলোমেলো হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা বলছেন একসময় নাকি তাদের ফোন কল ট্যাপ রাজ্যের শাসকদল সাইবার এক্সপার্ট বা লালবাজার বা জেলা পুলিশ দিয়ে হেনস্থা চালতো। আজ শাসকদলের বহু নেতা মন্ত্রী মমতার ভয়ে তাদের রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করছেন চুপিচুপি ভার্চুয়ালি।
শাসকদলের কিছু নেতা মন্ত্রী তাহলে রাতের অন্ধকার হোক দিনের আলোয় কোন দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ভায়া হোয়াটসঅ্যাপে তা গোয়েন্দা পুলিশ ধরতে পারছেন কী? তাহলে কি সিধ কি ইঁদুর কাটছে। মমতার অস্ত্র বা তাঁর সেখানো পথেই হাঁটছেন তাঁর নেতা মন্ত্রীরা। যারা সারাদিন অনুপ্রেরণার কথা বলেন তারা আদও কী মুখমন্ত্রীর ‘অনুগামী’ নাকি নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করছেন? বহু জেলার ছবি বা কথাবার্তা কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মমতাকে পাশ কাটাচ্ছেন অনেকেই।