ভারতীয় যারা বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণের ধ্বজা ধরে আবার সুদর্শন চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণকেও আদর্শ মানেঃ মোদি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হু হু কানের পাশ দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে। ঠিক পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে সিন্ধু নদী। সুন্দর এই প্রকৃতির নাম লাদাখ। যা বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত। যার আঁচে ক্রমাগত গা পোড়াচ্ছে দিল্লি এবং বেজিং।
এর মধ্যেই লাদাখে সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে শুক্রবার সকালে আচমকাই উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করলেন আইটিবিপি এবং ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে। ওদিকে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেজিং।
জানস্কার তীরে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই বিবৃতি দিল চিনের বিদেশমন্ত্রক। সেখানেও হুশিয়ারির নিশানা। কিন্তু চিনের লাল চোখকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত।
কারণ ভারতীয়রা হল সেই লোক যারা বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণ এর ধ্বজা ধরে আবার সুদর্শন চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণকেও আদর্শ মানে। এই বক্তব্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির। যার উপস্থিতি সকাল থেকেই বেজিংকে টলিয়ে দিয়েছে।
সেনা বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মনোবল বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে। আপনাদের ইচ্ছাশক্তি এই পর্বতের মতোই অটল।
প্রধানমন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিটের পর সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা বেজিং-এর
সেনাবাহিনীর বীরত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের শক্তি কতটা। সেনাবাহিনীর হাতে দেশ রক্ষার ভার যখন রয়েছে তখন গোটা দেশ নিশ্চিন্ত।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ফুট ওপরে নিমু এলাকার সেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে টগবগ করে ফুঁটছে গোটা দেশ। জাঁসকর নদী-ঘেঁষা ওই এলাকাটি খুবই দুর্গম বলেও দাবি করা হয়।
কিন্তু সেই দুর্গম এলাকাতেও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে চিন। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব যখন বিকাশবাদে বিশ্বাসী তখন কেউ কেউ বিস্তারবাদের ওপর এখনও আস্থা রেখেছেন। গোটা বিশ্ব বিস্তারবাদী শক্তির বিরোধিতা করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে।
এদিন শহীদ সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করব। ভারতের স্বপ্নপুরনে ১৩০ কোটি ভারতীয় পিছিয়ে থাকবে না। আমরা সবাই মিলে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই মুহুর্তে লাদাখে উপস্থিত রয়েছেন সেনপ্রধান এমএম নারভানে এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপীন রাওয়াত।
এদিন বিকালেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। তবে কিছু সময় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি চিনের ঘাম ঝড়িয়েছে বলে মনে করছে কুটনৈতিক মহল।