রাজ্যের নাম বদল থেকে ভ্যাকসিন, মোদী-মমতা সাক্ষাতে উঠে এল একাধিক বিষয়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা শোনা গিয়েছিল মমতার মুখে। বিরোধীদের নিয়ে পৃথক ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। এরই মাঝে দিল্লি গিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন মমতা। এদিন বিকেলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে ওই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে। যদিও এই বৈঠক নেহাতই সৌজন্যমূলক ছিল বলে জানিয়েছেন মমতা। এর মাঝেও উঠে এসেছে করোনা ভাইরাস এবং টিকাকরণের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ দিন সাউথ অ্যাভিনিউয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলার জন্য কম পাঠানো হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন। বাংলাতে আরো বেশি সংখ্যায় ভ্যাকসিন যাতে পাঠানো হয়, এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই দাবি তুলে ধরেছেন।
রাজ্যের নাম বদল থেকে ভ্যাকসিন, মোদী-মমতা সাক্ষাতে উঠে এল একাধিক বিষয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় “অন্য রাজ্যে বাংলার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যদিও আমি তার বিরোধিতা করছিনা। তবে জনসংখ্যা এবং জনঘনত্বের ভিত্তিতে বাংলাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। সেই দাবি জানিয়েছি।” একইসঙ্গে তিনি জানান তাঁর এই দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রসঙ্গত এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আধঘণ্টার বৈঠকে উঠে আসে রাজ্যের নাম বদল প্রসঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের নাম বদল নিয়ে বিতর্ক চলছে শাসক-বিরোধীর। পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে বাংলা করার দাবি আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। তা নিয়ে যথারীতি আপত্তি জানায় কেন্দ্র। এদিন সেই বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঁচদিনের দিল্লি সফরের প্রথম দিন থেকে নজরে ছিল মোদী মমতার সাক্ষাৎ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলের চরম উন্মাদনার ছিল বিরোধী জোটের যে সলতে পাকানো কাজ মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন তাতে কোন কোন দলের নেতৃত্বদের পাশে পান তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক সমীকরণ অন্যরকম ছিল। দিল্লির বুকে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা পড়তেই ক্রমশ বদলাতে শুরু করেছে সেই রাজনৈতিক সমীকরনের ফলাফল। গোটা দেশের নজর এখন দিল্লিতে ।