কেন্দ্রের বাজেটের তীব্র সমালোচনা করলেন মহম্মদ সেলিম

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে বাম – কংগ্রেস এবং তৃণমূল। বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে সুজন চক্রবর্তী প্রত্যেকেই বাজেটের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। আজ আলিমুদ্দিনে সংবাদিক সম্মেলন করে বাজেটের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম।

তিনি বলেন, আজকের বাজেট ছিল কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে কীভাবে অর্থনীতির উন্নতিকরন এবং সেইসঙ্গে সরকার জনগণের কল্যাণে নতুন ইতিবাচক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তার দিশা দেখানোর।

তবে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে সেইসব কিছুর ইচ্ছা মোদী সরকারের নেই । গত ৭ বছর ধরে অর্থনীতির যে সর্বনাশ ঘটেছে আগামী দিনেও তাই ঘটবে ।

এই বাজেটকে ওএলএক্স এর বিজ্ঞাপনের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।  কারণ রেল থেকে ইন্সুরেন্স, কলকারখানা, ব্যাঙ্ক  সবকিছুই বিক্রির কথা বলা হয়েছে।

মোদীর ডিজিটাল ইণ্ডিয়া প্রজেক্ট কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এই সরকার ক্যাসলেশ ইকোনমির কথা বলেছিল । কিন্তু হলো কই ? ডিজিটাল হওয়া মানে সমস্ত তথ্য সরকারের নখদর্পণে থাকবে।

আরও পড়ুনঃ “এই বাজেট কোম্পানি রাজের বাজেট” –দীপঙ্কর ভট্টাচার্য

কিন্তু এই সরকার তো সেটাই জানে না কোন রাজ্যে কত পরিযায়ী শ্রমিক আছেন । যারা করোনা কাটাতে গোবর দিয়ে স্নান করার কথা বলেন আর পাঁপড় খাওয়ার পরামর্শ দেন তাদের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা মানায় না ।

একইসঙ্গে কৃষক আন্দোলনের বিষয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়েও তিনি বলেন, ওরা ফেক নিউজ করছে।

ফেক অ্যাকাউন্ট করে প্রচার করছে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া কে চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে কৃষক আন্দোলনের খবর প্রকাশ্যে না আসে। অথচ যারা কৃষকদের পক্ষে কথা বলছেন তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাদেরকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমকে বিজেপি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।

এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন অবিলম্বে সমস্ত বন্ধ অ্যাকাউন্ট গুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। এমন কোনো আইন দেশে আছে বলে আমাদের জানা নেই ।

প্রসঙ্গত এদিন তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে তিনি বলেন, রাজ্যে কাটমানির সরকার চলছে। আর দেশে ভাওতাবাজির সরকার চালাচ্ছে।

বিজেপি চেষ্টা করছে সব কিছুতেই ভাগ করতে। হিন্দু মুসলিম, শিখ বৌদ্ধ সব কিছুতেই এরা ভাগাভাগি করে চলে। আর এরাজ্যের সরকার পরোক্ষে তাদের মদত করে যাচ্ছে।

তাঁর কথায়, বিজেপি বিধায়ক কিনতে চাটার্ড প্লেন পাঠায়। নির্বাচনী প্রচারে রথ নামায়। রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়ে সার্কাস চলছে । এই মিথ্যাচার মানুষ মেনে নেবে না। এবারে নির্বাচনেই তার প্রমাণ মিলবে।

সম্পর্কিত পোস্ট