বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের নতুন স্রোত বইয়ে দিয়েছে মাঙ্কিপক্স

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার প্রভাব স্তিমিত হতে না হতেই বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের নতুন স্রোত বইয়ে দিয়েছে মাঙ্কিপক্স। যা নিয়ে এবার রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্যভবন। কলকাতা সহ প্রত্যেক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সর্তক করা হয়েছে। সব মেডিকেল কলেজকে এই রোগে আক্রান্ত বা উপসর্গযুক্তদের জন্য কিছু শয্যা আলাদা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতিটি মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে যাতে প্রয়োজনে টেস্টের ব্যবস্থা করা যায়। কলকাতার আইডি ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন)l কর্তৃপক্ষকেও সব রকম ব্যবস্থা রাখতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন। পাশাপাশি, প্রত্যেক বিমানযাত্রীদেরও নজরদারি করা হবে। সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।
মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে তৈরি রাখা হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আলাদা শয্যার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে সেখানে। যাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন এবং যাঁদের শরীরে এর উপসর্গ থাকবে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লী সফরে মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজগুলিকে আগাম প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলিতে যাতে আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার অন্তত একটি হাসপাতালে আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
মাঙ্কিপক্সে উপসর্গ রয়েছে, এমন কারও হদিস পাওয়া গেলে, তাঁর নমুনা সংগ্রহের জন্য মাইক্রোবায়োলজি দফতরগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু এত সবের মাঝেও প্রশ্ন উঠছে, যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হবেন তাঁরা আদৌ কী এগিয়ে আসবেন চিকিৎসার জন্য?
কেননা সামনে এগিয়ে এলেই তো গায়ে লাগবে সমকামী তকমা। তখন ঘরে বাইরে সর্বত্র নিন্দা আর ছিঃ ছিঃ কার। কোনঠাসা হতে হবে সর্বত্র। যদিও শুধু যে সমকামী ও উভকামীদেরই এই রোগ হচ্ছে তা কিন্তু নয়। যারা সমকামী বা উভকামী নন তাঁদেরও এই রোগ হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা মানুষের কাছে এই রোগ সমকামের ফল বলেই চিহ্নিত হচ্ছে বেশি করে। আর এখানেই উদ্বেগ চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের।