রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা, ভারী-অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা -২৩ জুনের মধ্যে শেষ হবে বাঁধের কাজ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। শনিবার আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। যার প্রভাবেই আগামী তিন-চার দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বর্ষা প্রবেশ করে। এই বছর একটু দেরি। আবহবিদরা বলছেন, নিম্নচাপের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ। শনিবার থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি।

শনিবার উপকূলবর্তী দুই জেলা অর্থাৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের আভাস দেওয়া হয়েছে। উপকূল এলাকায় সমুদ্র উত্তাল থাকার পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।

সুন্দরবন সহ নিচু এলাকায় জল ঢুকে প্লাবিত হওয়ারও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের মালদা ছাড়া এই মূহুর্তে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস অন্যজেলায় নেই।

রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস মন্ত্রী অখিল গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ভরা কোটাল নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে চলেছি। যে সমস্ত জায়গায় পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে সেই সব জায়গায় অস্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সেচ দপ্তরের তরফে।”

গণ সংগ্রাম থেকে নির্বাচনী সংগ্রাম, মুখ্য ভূমিকা পালন করুক বামফ্রন্ট আবেদন ফরোয়ার্ড ব্লকের

তিনি জানান, “চেষ্টা করা হচ্ছে যতটা সম্ভব কাজ দ্রুতগতিতে শেষ করা যায়। মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। উপকূল এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বানে আবার জল ঢুকতে পারে বেশ কিছু জায়গায়। সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে রাজ্যের তরফে।”

তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের কথায়, “প্রত্যেকটা জায়গায় ব্রিজ বাধার কাজ চলছে। ১১ তারিখের কোটাল সামলে দেওয়া হবে।২৬ তারিখের কোটালও আমরা সামলে নিতে পারব। সব কাজ একসঙ্গে শুরু করা হয়েছে। ২৩ জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে।”

সম্পর্কিত পোস্ট