আসছে বর্ষা, বাঁধ ভেঙে বিপর্য়য় এড়াতে চুূড়ান্ত প্রস্তুতি বজায় রাখার নির্দেশ নবান্নের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আসন্ন বর্ষার মরশুমে যে কোনও রকম বিপর্য়য় এড়াতে সব জেলাকে চুূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি বজায় রাখার নির্দেশ দিল নবান্ন।পাশাপাশি বাঁধ ভেঙে দুর্ঘটনা রুখতেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।

বর্ষা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শুক্রবার নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। সব জেলার জেলা শাসকের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলাওয়ারি অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবদিকেই সমান নজর । প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যদিও মানুষের কোনও হাত থাকে না, তবে মুখ্যমন্ত্রী চান আগে থেকে সর্তকতা নিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে । সে কারণেই এই বৈঠক ।

“আমি পুলিশের নিয়োগে হস্তক্ষেপ করি না, মানে করি না”, নিয়োগ অনিয়ম নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন জেলায় জীবন ও সম্পত্তিহানির খতিয়ান সংক্রান্ত রিপোর্টও নবান্নে জমা পড়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ২৪ মে পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪৬ হাজার ৪৩২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলকাতা ছাড়া কম-বেশি সব জেলা থেকেই দুর্যোগের কারণে বাড়িঘর ভাঙার খবর এসেছে।

প্রায় ৯ হাজার ৮৬৮টি কাঁচা বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪১৯টি পাকা বাড়িও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মোট ৩৫ হাজার ৩১১টি কাঁচা বাড়ি এবং ৮৫৩টি পাকা বাড়ির। শুধুমাত্র ২৩ ও ২৪ মে’র ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৯৭৮টি বাড়ির।

গত দু’বছর কখনও আমফান, কখনও যশ ভুগিয়েছে রাজ্যের মানুষকে । উত্তর থেকে দক্ষিণ বানভাসি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলা । এই অবস্থায় জনজীবনের যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েছেই । একইসঙ্গে ক্ষতি হয়েছে চাষের জমি, মাছের ভেড়ি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ।

সম্পর্কিত পোস্ট