আরও কঠোর নিরাপত্তা সিঙ্ঘু বর্ডারে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গাজিপুর বর্ডারের মতো একই পুলিশি কড়া পাহাড়া সিঙ্ঘু বর্ডারেও। সেখানেও কাঁটাতার, কংক্রিকেটের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তেও। বুধবার সেই নিরাপত্তা আরও কঠোর করল দিল্লি পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

রাজধানীতে প্রবেশ রুখতে দিল্লি পুলিশের তরফে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৪৪ কে খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে কাঁটাতার এবং কংক্রিটের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। রাস্তার ওপর পোঁতা হয়েছে পেরেক এবং গজাল।

দিল্লির ভিতর কৃষকদের রুখতে আনা হয়েছেন কনটেনার। মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপক পুলিশবাহিনী। এমনকি দিল্লি থেকে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হচ্ছে মিডিয়াকেও। গত সপ্তাহ থেকে বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

দিল্লি পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড দেখে মনে হবে কোনও আন্তর্জাতিক সীমান্ত দ্বারা দুই জায়গাকে আলাদা করা হয়েছে।

২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর র‍্যালিকে ঘিরে অশান্তি ছড়ায়। দিল্লি লালকেল্লা এবং আইটিওর কাছে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনায় একজন কৃষকের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩০০ জন পুলিশ। এরপর থেকেই দিল্লি পুলিশের তরফে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দিল্লি পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব বলেন, ২৬ জানুয়ারি অশান্তির সময় কেউ প্রশ্নও করল না। যখন ব্যারিকেড ভাঙা হল তখন কেউ প্রশ্ন তুলল না। আমরা শুধুমাত্র মজবুত ব্যারিকেড করছি যাতে কোনভাবেই না এটাকে ভাঙা যায়।

আরও পড়ুনঃ ফের উত্তাল সংসদ, রাজ্যসভার তিন সাংসদকে কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ চেয়ারম্যানের

অন্যদিকে হরিয়ানা সীমান্তে যেখানে কৃষকরা আন্দোলন করছেন সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট এবং পানীয় জলের পরিষেবা।

সরকারের পক্ষে নেওয়া পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমি যতদুর অবধি কৃষকদের জানি তাঁরা এত সহজে হার মানতে নারাজ। তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। শেষ অবধি সরকারকে সরে আসতে হবে। সারা দেশের এই পরিস্থিতি ঠিক নেই।

কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, একমাত্র আইন প্রত্যহার ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।

বুধবার হরিয়ানায় জিন্দ এলাকায় কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত বসে। একেবারে জাট এলাকায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া মেলে। সেখানে মানুষের ভিড়ে মঞ্চ ভেঙে যায়। তবুও বিন্দুমাত্র নিরাশ হতে মানা করেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়িত।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে একাধিকবার আইন ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছি। সরকারের উচিত কৃষকদের কথা শোনা। কি হবে যদি যুবকরা ক্ষমতার ফিরত চায়? প্রশ্ন কৃষক নেতার।

ইতিমধ্যেই ৬ তারিখ ৩ ঘন্টার দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসুচীর ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। সরকার তাঁদের দাবী না মেনে নিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে সাফ বার্তা কৃষকদের।

সম্পর্কিত পোস্ট