নির্বাচনী প্রচারে বিতর্কিত শ্লোগান, জনতার মুড লক্ষ্য করতে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
দিল্লি নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে তা একেবারেই অভূতপূর্ব। নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ থেকে অনুরাগ ঠাকুর বলছেন, “দেশ কে গদ্দারো কো”, জমায়েত হওয়া ভির থেকে পাল্টা শ্লোগান আসছে “গোলি মারো......”
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনী সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গিয়েছে এর আগেও। তবে সেটা কোনও একটি রাজনৈতিক দল তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীকেই মূলত উদ্দেশ্য করে বলে থাকে। কম বেশী সেই রাজনৈতিক শ্লোগানের উষ্ণতার আঁচ সমস্ত নির্বাচনী প্রচারে পাওয়া যায়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি বেসামাল হলে ক্ষমা চেয়ে নেন সেই ব্যাক্তি।
কিন্তু দিল্লি নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে তা একেবারেই অভূতপূর্ব। নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ থেকে অনুরাগ ঠাকুর বলছেন, “দেশ কে গদ্দারো কো”, জমায়েত হওয়া ভির থেকে পাল্টা শ্লোগান আসছে “গোলি মারো……”।
আরও পড়ুনঃ সংসদীয় মহাযুদ্ধে বামেদের অর্জুন ইয়েচুরি!
মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। পরে ওই জনসভার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান নির্বাচনী অফিসার। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, জনতার মুড দেখেই তিনি এই শ্লোগান দিয়েছেন।
জেএনইউ হামলার সময় প্রায় ৭০ জন গুণ্ডা বাহিনীর মুখে শোনা যায় এই শ্লোগান। আহত হন ৩৪ জন শিক্ষক এবং পড়ুয়া। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রির মুখে এই শ্লোগান রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। তাই শেষ মুহূর্তে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে প্রত্যাকটি রাজনৈতিক দল। রিথিলা কেন্দ্র থেকে এবারের নির্বাচনে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন মনিশ চৌধুরী।
তারই প্রচারে এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। প্রচার সভা থেকে অনুরাগ ঠাকুরের শ্লোগান কিছুটা চাপে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে।
বিরোধীদের তরফে তোলা প্রশ্নে জানানো হয়েছে, শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিন। এই মুহূর্তে দেশের বেকারত্বের হার সর্বাধিক। তাঁর ওপর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে। সেদিকে নজর নেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর। ভিডিওটি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে বিতর্কিত টুইটের কারণে শাস্তি পেতে হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্রকে। তার ফলে ৪৮ ঘণ্টা প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।