ফের মৃণাল! গৌতমকে খুশি করতে গিয়ে উত্তরে আত্মঘাতী হল আলিমুদ্দিন?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে তৃতীয় স্থানে নেমে আসা সিপিএমের জেলা কমিটি গঠনে এক সপ্তাহের টানাপোড়েন চলল! এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনায়। যদিও শেষ পর্যন্ত জেলা সম্পাদক পদে থেকে গেলেন মৃণাল চক্রবর্তী। যা দেখে সিপিএমের অন্য জেলার কমরেডরা বলছেন, এতো লড়াইয়ের ফল এই! উত্তরের উদ্দেশ্যে তাঁদের প্রশ্ন, সেই যদি অশ্ব ডিম্বই প্রসব করবে তা বাপু এতো নাটকের কি প্রয়োজন ছিল?
আসলে মৃণাল চক্রবর্তীকে জেলা সম্পাদক হিসেবে পুনরায় এই বৃহৎ জেলার দায়িত্বে বেশিরভাগ কমরেডই দেখতে চাননি। সারাদেশের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনাই হল সর্ববৃহৎ এলাকা নিয়ে অবস্থান করা সিপিএমের জেলা কমিটি। তাই সেই জেলার কোথায় কি ঘটছে সেদিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ নজর থাকে সর্বভারতীয় নেতৃত্বের।
সেখানেই জেলা সম্পাদককে নিয়ে কমরেডদের মধ্যে প্রশ্নের শেষ নেই। নৈহাটিতে আয়োজিত জেলা সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা দুটো বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছিলেন। প্রথমটি হল, মৃণাল চক্রবর্তীর অযোগ্য নেতৃত্ব এবং দ্বিতীয়, তন্ময় ভট্টাচার্যের শাস্তির দাবি।
নির্বাচনের জের , বদলে যেতে পারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি
নতুন জেলা কমিটির জন্য ভোটাভুটির কথা সকলের জানা। এতকিছুর পর সোমবার আলিমুদ্দিনে প্রথম জেলা কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব বুঝে জেলা কমিটির অন্য সদস্যদের কেউ সম্পাদক পদে প্রার্থী হননি। সেই ফাঁকতালেই মৃণাল চক্রবর্তী জেলা সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন। যদিও এই ঘটনায় জেলার বেশিরভাগ সিপিএম সদস্য খুশি নন বলেই খবর।
শোনা যাচ্ছে গৌতম দেবের আশীর্বাদের হাত মাথায় থাকাতেই তিনি ফের জেলা সম্পাদক হলেন। এদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গৌতম দেবই বিশেষ একটা চলাফেরা করতে পারেন না। তবুও তাঁকে এবারের জেলা কমিটিতে রাখায় এমনিতেই সমালোচনা হচ্ছে। এর উপর তাঁর আশীর্বাদধন্য মৃণালবাবু জেলা সম্পাদক থেকে যাওয়ায় কর্মীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে।
তাঁদের মতে, গৌতম দেবের বিরোধিতা করবে না বলেই আলিমুদ্দিন চুপচাপ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। অথচ এতো বড় একটা জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে সক্রিয় এবং দাপুটে কাউকে জেলা সম্পাদক করাটা জরুরি ছিল। কর্মীদের কেউ কেউ বলছেন, এখনকার গৌতম দেব অতীতের ছায়াও নন। সেই তাঁকেই খুশি করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় আত্মঘাতী হল আলিমুদ্দিন!