এমএসপিকে আইনি মান্যতা দিতে হবে, শর্ত রাখলেন কৃষকরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যত সময় যাচ্ছে ততই বৃহত্তর হচ্ছে কৃষক আন্দোলন। কিন্তু আইন প্রত্যাহারে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। সরকারের তরফে একাধিকবার সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ফায়দা হয়নি। তাই এবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে নূন্যতম সহায়ক মুল্যকে সরকারী মান্যতা প্রদানের শর্ত রাখল কৃষকরা।

এরই মধ্যে শুক্রবার ছয় রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৪ সপ্তাহে পড়তে চলেছে দিল্লির সীমান্তে কৃষক সংগঠনগুলির আন্দোলন। তার মধ্যে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে না বসে অন্য কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি।

ওইদিনই প্রায় ৯ হাজার কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী কিশান সম্মান নিধি অনুযায়ী ডিজিটালি প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী।

সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। সেদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কিশান যোজনা নিয়ে একাধিক মন্তব্য রাখবেন কৃষকরা। এমনটাই সূত্রের খবর।

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাজ ভারত প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেন, যেসমস্ত সংগঠনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এখনও অবধি সরকারের তরফে সঠিক প্রস্তাব মেলেনি বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে কৃষকরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তা স্পষ্ট করেছেন তিনি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajib-appeared-at-the-inaugural-function-of-the-full-fair-in-the-assembly-dispelling-rumors-of-a-change-of-party/

একইসঙ্গে নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকারের তরফে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারের তরফে নূন্যতম সহায়ক মূল্যের খসড়া পাঠানো হলে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যত সময় যাচ্ছে আন্দোলন ক্রমাগত বৃহত্তর হচ্ছে। তাই তাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চলছে। দাবী সর্বভারতীয় কিসান সভার নেতা হান্নান মোল্লার। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে কবে সমাধান মিলবে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। মন্তব্য বাম নেতার।

অন্যদিকে কৃষক আইন প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে নারাজ সরকার। কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের দিকে নজর দিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। সমস্যা দূরীকরণে কৃষকরা সরকারের সঙ্গে দ্রুত বৈঠকে বসবেন আশাবাদী তিনি।

এদিকে আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর করতে রিলে অনশন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে থালা বাজিয়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।

দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে কৃষকরা এসে জমায়েত করছেন দিল্লি সীমান্তে। দিল্লির পাঁচটি প্রধান সড়কপথ অবরুদ্ধ করে আন্দোলনে বসেছেন কৃষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট