চাপ বাড়াচ্ছে বাম, তাই কি ‘ফুটছে’ মুকুল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের পর বঙ্গ রাজনীতিতে কাউকে যদি চানক্য তকমা দেওয়া যায় তিনি হলেন মুকুল রায়। এই নিয়ে বিতর্কও আছে। তবে রাজনীতির ময়দানে মুকুলের ‘মাষ্টারস্ট্রোক’-গুলো কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।
২০১১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর তাঁর হাত যশেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বামেদের ‘রেজিমেন্টেড’ সংগঠন। আবার বিজেপিতে গিয়ে ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও নিজের খেল দেখান মুকুল। তবে গত বছর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে কার্যত সাইড বেঞ্চেও জায়গা পাননি, গ্যালারিতে বসে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তৃণমূলে তাঁর গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু কেন?
বিজয়ার প্রণাম করতে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়া বা বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা নিতে দিদির কাছে মুকুলের পৌঁছে যাওয়া নজর এড়ায়নি কারোর। এদিকে তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেও পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের বারে বারে যেতে দেখা যাচ্ছে। এতদিন যে মুকুল তৃণমূলে ফিরেও কার্যত অছ্যুত হয়ে পড়ে ছিলেন, সেই তাঁর এই হঠাৎ গুরুত্ব বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই কারোর চোখ এড়ায়নি।
ধার পেলে তবে নভেম্বরের বেতন হবে? শুভেন্দুর ১০ হাজার কোটি মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
সম্ভবত পঞ্চায়েত ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই মুকুলের গুরুত্ব বাড়াচ্ছেন মমতা। কারণ আজও গ্রামেগঞ্জে তৃণমূলের সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে তিনি যতটা জানেন, তার ধারে কাছে যান না অভিষেক-ফিরহাদরা। তাছাড়া গতবছরই বিপুল জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল।
তার উপর মধ্য বঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বামেরা। এই জেলাগুলোতে রাজ্যের প্রাক্তন শাসক দল ব্যাপক চাপ বাড়াতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় পঞ্চায়েতে ফল খারাপ হওয়া মানে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে বিপুল অক্সিজেন পেয়ে যাবে তা ভালোই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বোধহয় কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পরীক্ষিত মুকুল ফুটিয়েই বৈতরণী পেরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।