টার্গেট বাংলাঃ মুকুল-শোভন ছাড়া বেমানান পদ্ম

বঙ্গ রাজনীতিতে দলের চাবিকাঠি পেয়েই বিরোধীদের রীতিমত হুঙ্কার দিতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। একইসঙ্গে ঝাঁপিয়েছেন টার্গেট বাংলা মিশনেও। নজর দেওয়া হয়েছে চায়ে পে চর্চা, অভিনন্দন যাত্রার মত একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচীতেও।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে পদ্মশিবিরের মার্কশিটে উচ্ছ্বসিত না হলেও মোটের উপর বিজেপি নেতারা বেশ খুশি। তাই দ্বিতীয়বারের জন্য ফের দলের ব্যাটন দিলীপ ঘোষের হাতেই সঁপে দিয়েছেন মোদি-শাহরা।

বঙ্গ রাজনীতিতে দলের চাবিকাঠি পেয়েই বিরোধীদের রীতিমত হুঙ্কার দিতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। একইসঙ্গে ঝাঁপিয়েছেন টার্গেট বাংলা মিশনেও। নজর দেওয়া হয়েছে চায়ে পে চর্চা, অভিনন্দন যাত্রার মত একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচীতেও।

সূত্রের খবর, মিশন সাকসেসফুল করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে চলেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে জানা যাচ্ছে ঝাড়াই-বাছাইয়ের পর যুক্ত হতে পারে বেশ কিছু নতুন মুখও। টার্গেট বিধানসভা নির্বাচন হলেও পুরসভা নির্বাচনে নতুন সেই সিদ্ধান্ত কতটা রান তুলতে পারে সেই জলটাই মেপে নিতে চাইছেন গেরুয়া শিবির।

বর্তমানে রাজ্য বিজেপিতে ৫ জন সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। সহসভাপতি ও সম্পাদক পদে রয়েছেন ১০ জন করে।। দলীয় সূত্রে খবর, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও সম্পাদক পদে কমপক্ষে ছ’ থেকে সাতজন নতুন মুখকে আনা হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ আলাদা করে লড়াই করলেও সংবিধানের রক্ষার্থে সবাই লড়ছি, মমতার পাশে চিদম্বরম

দলীয় সূত্রে খবর, এই মূহুর্তে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অবস্থানে পুরভোটে প্রজেক্ট করা হতে পারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কারণ দীর্ঘদিন মাঠে নেমে রাজনীতি করায় বাংলার মাটি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহল তিনি। দ্বিতীয়ত, তৃণমূলে থাকাকালীন একাধিকবার দলের দুঃসময়ে কান্ডারী হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তৃতীয়ত, দীর্ঘদিন কলকাতার মেয়র ছিলেন তিনি। তাই পুরভোটে আপাত ভাবে অন্যান্যদের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন এই দুঁদে রাজনীতিবিদ।

সূত্রের আরও খবর, শুধুমাত্র শোভনই নন, পুরভোট ও বিধানসভা ভোটে ঘাসফুলকে বাংলা থেকে সরাতে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মুকুল রায়ের উপরও। কারণ একদা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে এলেও বিরোধী শিবিরের গতিবিধি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহল।পাশাপাশি উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম প্রতিটা কোনা তাঁর নখদর্পনে।

রাজনৈতিক মহলের মতে বিরোধী শিবিরকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।

প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন তা নির্ধারিত হয়ে যাবে। তারপরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গ্রিন সিগন্যাল নিয়ে ঝাড়াইবাছাই করা হবে গেরুয়া শিবিরে।

তবে কতটা এফেক্টিভ হবে সেই রেজাল্ট? তার উত্তর দেবে প্রবাহমান রাজনীতির গতিপথ…

সম্পর্কিত পোস্ট