লোকসভা-বিধানসভার পর পুরভোটেও উত্তরের গড় ধরে রাখতে পারবে বিজেপি?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: রাত পোহালেই পুরভোটের ভোট গণনা শুরু হয়ে যাবে। ১০৮ টি পুরসভায় নির্বাচন হয়েছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে সব পুরসভার ফল হাতে চলে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইভিএম মেশিনে ভোট হওয়ায় গণনায় খুব একটা দেরি হওয়ার কথা নয়।
এরইমধ্যে আলাদা করে নজর থাকবে উত্তরবঙ্গের দিকে। ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে একচেটিয়া সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিছুটা জমি পুনরুদ্ধার করলেও দাপট ছিল বিজেপিরই। পুরভোটেও বিজেপি সেই দাপট ধরে রাখতে পারে কিনা সেই দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবে রাজ্যবাসী।
সপ্তাহখানেক আগে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে উত্তরবঙ্গে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। মনে করা হয়েছিল লোকসভা-বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়জয়কারের পর পুরভোটেও শিলিগুড়িতে জিতবে তারা।
কাঁথির সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারবে অধিকারীরা? নাকি ছিনিয়ে নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
কিন্তু দেখা যায় শিলিগুড়ি পুরসভার শান্তিপূর্ণ ভোটের ফল বের হতে ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৭ টি তেই জিতে প্রথমবারের জন্য বোর্ডের দখল নিয়েছে তৃণমূল। এবারের পুরভোটে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, কোচবিহারে গেরুয়া শিবির তাদের প্রভাব কতটা ধরে রাখতে পারে সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে ভালোমতো ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। একুশের ভোট পরবর্তী পর্যায়ে কোচবিহারে উদয়ন গুহদের দাপটে তারা ক্রমশই কোণঠাসা হয়েছে। তাই এই দুই জেলায় বিজেপির ফল খুব একটা ভালো হবে না বলেই মনে করছে অনেকে। তবে খোদ রাজ্য সভাপতির জেলা হওয়ায় বালুরঘাটের ভোটের ফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির।
আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার ভোট নিয়েও আশা ছিল বিজেপি শিবিরে। কিন্তু জলপাইগুড়ি পুরসভার ভোটে ব্যাপক গাজোয়ারি হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। সব মিলিয়ে আশার মাঝেই উত্তরবঙ্গ ঘিরে আশঙ্কার চোরাস্রোত গেরুয়া শিবিরে।