মুসলিমরা দেশের ১৫ শতাংশ হয়েও কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় নেই, শূন্য ১৬ টি রাজ্যেও
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের পর জাতিভিত্তিক সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী মুসলিমরা। মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশেরও বেশি তারা। অর্থাৎ এ দেশে প্রায় সাড়ে একুশ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাদের কোনও প্রতিনিধি নেই! ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম এই অবস্থা। এই ছবি আরও ১৬ টি রাজ্যে, কারণ এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আছে।
অটলবিহারী বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় মুক্তার আব্বাস নাকভি, শাহনওয়াজ হুসেনরা বিজেপির মন্ত্রী ছিলেন। আর বাকি শরিকদের থেকে আরও অনেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মন্ত্রী ছিলেন। প্রথম মোদি সরকারেও শাহনওয়াজ, মুক্তার নাকভিরা ছিলেন। এম জে আকবর, নাজমা হেপ্তুল্লাহরা প্রভাবশালী সাংসদও ছিলেন।
ক্যানিংয়ের ভয়াবহ খুন কী তৃণমূলকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা?
কিন্তু ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের পর থেকেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। এবারে লোকসভায় বিজেপির একজনও মুসলিম সাংসদ নেই রাজ্যসভার মুসলিম সাংসদদের মেয়াদ ফুরোলে তাদের আর নতুন করে টিকিট দেয়নি দল। এনডিএর বাকি শরিক দল থেকেও একজনও মুসলিম মন্ত্রী নেই।
উত্তরপ্রদেশ সহ বিজেপি এই মুহূর্তে এককভাবে ১৭ টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। তার মধ্যে ১৬ টি রাজ্যের মন্ত্রীসভায় মুসলিম মুখ নেই। আর তারা এককভাবে ক্ষমতায় থাকা ১৭ টি রাজ্যতেই একজনও মুসলিম বিধায়ক নেই! কেবলমাত্র উত্তরপ্রদেশে বিধান পরিষদের এক মুসলিম সদস্যকে সংখ্যালঘু মন্ত্রী করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার!
নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ শ্লোগানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়কে এইভাবে বঞ্চিত করে আদৌ কি সার্বিক বিকাশ ও উন্নয়ন সম্ভব?