অমরনাথে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের দ্রুত ফেরাতে তৎপর নবান্ন, চালু হেল্পলাইন

দ্য কোয়ারি ওয়েব়ডেস্কঃ অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির সঙ্গে নেমে আসা আকস্মিক বিপর্যয়ের অভিঘাত জোরালো আঘাত হেনেছে বঙ্গের মাটিতেও। প্রাণ গেছে এক বাঙালি কন্যার। এমত অবস্থায় সেখানে আটকে থাকা এরাজ্যের তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তৎপর রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়ে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দেখাশোনা করছেন।অমরনাথে আটকে থাকা বাংলার বাসিন্দাদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনার কেও সক্রিয় হওয়া নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

নবান্নের হেল্পলাইন নম্বরটি হল ০৩৩-২২১৪৫২৬, ২৪ ঘণ্টাই এই নম্বরটি চালু থাকবে। শনিবার টুইট করে হেল্পলাইন চালুর কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন ‘অমরনাথ বিপর্যের ঘটনায় আমি হতবাক ও শোকাহত। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আটকে পড়া পুণ্যার্থী ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে সমবেদনা জানাই। বাংলা থেকে তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে’।

অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ওই বাঙালি কন্যা-সহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এনডিআরএফ সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৪৮। শনিবার সকালে ৬ তীর্থযাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিলাগার হেলিপ্যাডে মেডিকেল টিম উপস্থিত রয়েছে। মাউন্টেন রেসকিউ টিম ও অন্যান্য দল নিখোঁজদের খোঁজ করছে।

শিয়ালদা মেট্রোর বহু প্রতীক্ষিত উদ্বোধন, ব্রাত্য মমতা

অমরনাথ বিপর্যয়ে মৃতা বঙ্গ তনয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরের বাসিন্দা। ওই বাঙালি কন্যার নাম বর্ষা মুহুরি। সে বারুইপুরের একটি কলেজে ভূগোলে এমএসসি’র পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, ওই যুবতী একটি দলের সঙ্গে অমরনাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ৬ জন। গত ১ জুলাই কলকাতা থেকে উত্তর ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল তারা। প্রথমে পহেলগাঁওতে একটি জায়গায় ছিলেন ২ দিন। সেখান থেকে অমরনাথে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন তারা।

আটকে পড়াদের মধ্যে রয়েছেন ধূপগুড়ির ৬ যুবক, কলকাতার ৮ জন এবং পুরুলিয়ার ২ জন। আটকে পড়েছেন বিপুল ঘোষ নামে কলকাতার লেকটাউন দক্ষিণদাঁড়ির এক বাসিন্দা। গত ৫ জুলাই রাতের জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে চেপে ওঠেন বিপুল। ৪৫ বছর বয়সী বিপুল পেশায় ব্যবসায়ী। বিপুলের সঙ্গে ছিলেন কেষ্টপুরের সাত জন এবং পুরুলিয়ার দুই জন।

শুক্রবার রাতে বিপুল ঘোষ কলকাতায় লেকটাউনের বাড়িতে যোগাযোগ করে জানান, তারা আপাতত পহেলগাঁও বেস ক্যাম্পে রয়েছেন। নিরাপদে রয়েছেন বলেও জানান। বেসক্যাম্প থেকে কোনওভাবে ফেরার উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট