মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা নিয়ে আরও কড়া হল নবান্ন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন লকডাউন জারি ছিল। সেই সময় অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরচ্ছিলেন না প্রায় কেউই। কিন্তু আনলক ওয়ান থেকেই ধাপে ধাপে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ।
আনলক টু’তেও অব্যাহত একই ধারা। এই সময়ে বারবারই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও বেশি করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নইলে ঘটতে পারে সর্বনাশ। তাই পরতে হবে মাস্ক, মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধি।
ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তা সত্ত্বেও হুঁশ নেই অনেকেরই। শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে এই অছিলায় অনেকেই মাস্ক মুখ থেকে খুলে রাখছেন। তার ফলে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।
এই পরিস্থিতিতে আরও কঠোর রাজ্য সরকার। এবার মাস্ক না পরে বেরলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই নির্দেশিকা জারি করলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাস্তাঘাটে মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলে প্রথমে তাঁকে মাস্ক পরতে বলা হবে। তারপরও যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাস্ক পরতে না চাইলে তাঁকে আটকে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে।
জেলা প্রশাসন, পুরসভা ও পুলিশ বিভাগকে এই বিষয়টি সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে অর্ডারে।
আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই জনজীবন স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে।
কিন্তু, আম জনতার মধ্যে সচেতনতা সেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আনলক-২ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল নবান্ন।
স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পুনরায় চালু চ্যাংরাবান্ধা আন্তজার্তিক বানিজ্য
সরাসরি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছে। জানানো হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মানা না হলে বা ঠিক ভাবে মাস্ক পড়া না হলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা তথা পুলিশ প্রশাসন যাতে এই নির্দেশিকা সঠিকভাবে মেনে চলেন সেই কারণে তাদেরকেও এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত তথ্যেও ছিল রাজ্যের জন্য উদ্বেগ। গত ৩৬ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন ধরা পড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছল ৬৪৯! এযাবৎ সর্বোচ্চ সংখ্যা ৬৫২ থেকে তিন কম।
শুক্রবারের বুলেটিন বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৬ জন, যা সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যার ১ কম। বুধবার সন্ধের বুলেটিন বলেছিল, ৬১১ জন গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যে।
তার আগের দিন মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৬৫২। সোমবার ছিল ৬২৪। এমন পরিসংখ্যানে উদ্বিগ্ন রাজ্য। সরকার দায়ী জনমানুষের করা আইন বলবৎ করে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে চাইছে।