নন্দীগ্রাম জয়ের পুরস্কার ! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এতদিন তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। বিধানসভাতে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক ইস্যুতে তৎকালীন বিরোধীদলের বিরুদ্ধে। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি লড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মুখ সমরে। তিনি আর কেউ নন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ভূমিকাতেও এবার তাঁকেই দেখা যাবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলনেতার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দলত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়ার পর নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

গোটা রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বার তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও একথা মেনে নিতেই হবে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম থেকে পরাস্ত করার উপহার হিসেবে শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতার মর্যাদা দিল গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, যে 77 জন বিধায়ক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তারাও বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুকে চাইছিলেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং ভূপেন্দ্র যাদব। সর্বসম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গোটা নির্বাচন পর্বে যেভাবে একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং পর্যবেক্ষকরা এসেছিলেন বিজেপির ভোট প্রচারে তা নজর কেড়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিরও।

শিক্ষায় ব্রাত্য, শিল্পে পার্থ, অর্থে অমিত, বনে-জ্যোতিপ্রিয়- একনজরে মমতার মন্ত্রীসভা

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের সকলের সঙ্গেই আলোচনা করা হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রের খবর। তারাও সকলে শুভেন্দু অধিকারীর নামেই সীলমোহর দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক মহলের মতে একথা মানতেই হবে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং রাজনৈতিক আধিপত্য ব্যাপক।  রাজ্যজুড়ে বিজেপি আশানুরূপ ফল না করতে পারলেও নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে শুভেন্দু অধিকারী মান রেখেছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই শুভেন্দুর গ্রহণযোগ্যতা সর্বজনবিদিত। একই সঙ্গে তাঁর রয়েছে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও। 21 বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক থাকার পর অবশেষে মোহভঙ্গ হয়েছে তাঁর।

তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে তাঁর রণকৌশল তৈরি করেন কিভাবেই বা তাঁর প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন সে কথা বিলক্ষণ জানেন শুভেন্দু। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিজেপির ভীত শক্ত করতে শুভেন্দুর মতো নেতাই প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব।

আগামী দিনে বিধানসভায় একাধিক ইস্যুতে সরকারপক্ষকে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা যাবে শুভেন্দু অধিকারীকে। সব মিলিয়ে এবারের বিধানসভা বাম-কংগ্রেস শূণ্য হলেও জমজমাট।

সম্পর্কিত পোস্ট