ঘরে-বাইরে ‘অসহিষ্ণুতা’ চাপে মোদি সরকার, ভাবমূর্তি ফেরাতে উপরাষ্ট্রপতি পদই হতে পারে বাজি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশের বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছিল মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করছে বিজেপি সহ সঙ্ঘ পরিবারের সমর্থকরা। সবটা দেখেও না দেখার ভান করছে দেশের সরকার। উল্টে মাঝে মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নানান মন্তব্যে এই বিভাজন কারীরা উৎসাহ পেয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে এখন আর শুধু দেশ নয় রাষ্ট্রসংঘ পর্যন্ত বিবৃতি দিয়ে ভারতের অসহিষ্ণু পরিবেশ ও সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের তীব্র সমালোচনা করেছে। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখালেও মোদি সরকার ভালোমতোই চাপে পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে উপরাষ্ট্রপতি পদই হতে পারে সরকারের বাজি।
দেশের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী মুসলিমরা। ভারতের প্রায় ১৬ শতাংশ জনগণ হল মুসলমান। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মুক্তার আব্বাস নাকভি ছাড়া আর একজনও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নেই! তিনিও এবার বিদায় নিলেন বলে।
শুধু তাই নয় শাসকদল বিজেপি সহ তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএতেও একজনও মুসলিম সাংসদ নেই। রাজ্যসভায় বিজেপির শেষ মুসলিম সাংসদ ছিলেন নাকভি। কিন্তু তাঁকে সদ্য সমাপ্ত রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। ফলে আর কদিন পরই মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হবেন মুক্তার আব্বাস নাকভি।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ‘জেহাদ’ ঘোষণা করবেন মমতা
বিজেপির একটি সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতি পদে নাকভিকে প্রার্থী করে মুসলিম বিদ্বেষী ভাবমূর্তি পাল্টানোর চেষ্টা করবেন মোদি-শাহরা। এমনিতেই বিজেপি তাদের প্রার্থীকে খুব সহজেই উপরাষ্ট্রপতি পদে জিতিয়ে আনতে পারবে। তাছাড়া বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
এই বিষয়টি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ভালোভাবে নেয়নি। তাই দ্বিতীয়বারের জন্য ভেঙ্কাইয়ার উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এই পরিস্থিতিতে দুয়ে দুয়ে চার করে মুক্তার আব্বাস নাকভিই সম্ভবত দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন।