সেনাপ্রধানের সঙ্গে লাদাখে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত মে মাস থেকে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নং পেট্রোলিং পয়েন্টে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে চিনা ফৌজ। সেখান থেকেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরই মধ্যে ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষরণের ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন।
একাধিক বৈঠকের পরেও সীমান্ত থেকে পিছু হটতে দেখা যায়নি দু’পক্ষকে। এরই মধ্যে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফর লাদাখ নিয়ে আলোচনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি লাদাখে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর আন্তর্জাতিক মহলের জন্য বেশ কড়া জবাব হবে বলে করছে কূটনৈতিক মহল।
সেনাপ্রধান সিডিএস রাওয়াত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। লেহতে হাসপাতালে গিয়ে আহত সেনাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
ফের নক্ষত্রপতন, না ফেরার দেশে কোরিওগ্রাফার সরোজ খান…
Prime Minister Narendra Modi makes a surprise visit to Ladakh, being briefed by senior officials at a forward position in Nimu. pic.twitter.com/8I6YiG63lF
— ANI (@ANI) July 3, 2020
PM Modi is presently at one of the forward locations in Nimu, Ladakh. He reached there early morning.He is interacting with personnel of Army, Air Force & ITBP. Located at 11,000 feet,this is among the tough terrains, surrounded by Zanskar range and on the banks of the Indus. pic.twitter.com/ZcBqOjRzcw
— ANI (@ANI) July 3, 2020
এর আগে লাদাখ সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। কিন্তু সেই যাত্রা বাতিল হয়। পরবর্তীকালে লাদাখে সারপ্রাইজ ভিজিটে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার নিমুতে সিনিয়র অফিসারদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এয়ারফোর্স, আইটিবিপি সেনাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি।
৬ জুন লাদাখের উত্তেজনা কমাতে দুপক্ষের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়। কিন্তু সেবারেও বরফ গলেনি। ১৫ জুনের ঘটনা দেশবাসীর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এরপর ২২ জুন চুসুল সীমান্তে চিন নিয়ন্ত্রিত মলডোতে দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকের পরেও ১৪ নং পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে সরতে রাজি হয়নি চিন সেনা।
এরপর মঙ্গলবার পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কম্যান্ডারের মেজর জেনারেল লিউ লিনের সঙ্গে টানা ১২ ঘন্টার বৈঠক করেন ১৪ নং কোর কম্যান্ডারের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরবিন্দর সিং।
বৈঠকের পর যা জানা যায় তা হল, সেনা সরানোর প্রক্রিয়া এই মুহুর্তে জটিল। দু’পক্ষের সমঝোতার জন্য আরও বৈঠকের প্রয়োজন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফর অন্যভাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহুর্তে সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে লাদাখে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সেইসঙ্গে বিরোধী পক্ষের মুখের ওপর জবাব দিয়েই লাদাখে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও কড়া বার্তা দিলেন তিনি।