৬৪% ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়েছেন মোদি, এখন মানুষ মরে গেলেও পাবে না- বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: দেশের করোনা পরিস্থিতি লাগামহীন। ইতিমধ্যে দিল্লিতে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেজরিওয়াল সরকার। লাগামহীন সংক্রমণ মহারাষ্ট্র , গুজরাট ,উত্তর প্রদেশে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই অপ্রতুল অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে জীবনদায়ী ওষুধ। দিকে দিকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানির ছবি প্রতিনিয়ত উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমের পর্দায়।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ফের করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন মুর্শিদাবাদের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায় ” দেশের ৬৪% ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মানুষ মরে গেলেও এখন ভ্যাকসিন পাবেনা। শেষ মুহূর্তে খোলাবাজার থেকে ভ্যাকসিন কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। তবে খোলাবাজারে ওষুধের যোগান থাকাটাও জরুরি।”

এদিন মুর্শিদাবাদের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ছয় মাসের বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ছিল কম। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার যদি সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বন্দোবস্ত করতো তাহলে বেলাগাম পরিস্থিতির দেশজুড়ে তৈরি হতো না।”

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ভুলেই কোভিড সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে এদিন দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে রাজ্যকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ছিলেন। একইসঙ্গে দেশজুড়ে অপ্রতুল ওষুধের উৎপাদন বাড়াতে আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির পরেই সোমবার ভ্যাকসিন নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার।

  • প্রথমত, প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে রাজ্যগুলির সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবেন।
  • দ্বিতীয়ত, পহেলা মে থেকে 18 বছরের উর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আট দফায় ভোট নিয়ে বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করতে শোনা গিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকেও।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, বিজেপি নেতৃত্বরা যেভাবে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এরাজ্যে প্রচার কর্মসূচী সারছেন তাতেই আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে কোভিড পরিস্থিতি।

উল্লেখ্য এর আগেও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচার কর্মসূচী সেরে চলে যাওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।

দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন। প্রচার কর্মসূচী সেরে ফিরে যাওয়ার পর জানা যায় গভীর আক্রান্ত হয়েছেন যোগীর আধিকারিকরা। কোভিদ পজিটিভ হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ নিজেও।

পরপর দু’দিন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় সাড়ে ৮ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা ২৬ থেকে বেড়ে হল ৩৮। এই প্রথম রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ২০.১ শতাংশ।

সম্পর্কিত পোস্ট