বেল দিয়েই জেল, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক ডা :কাফিল খান

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।সোমবার তাঁর জামিনও হয়। কিন্তু তাঁকে মুক্তি দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ জারি করে তাঁর কারাবাসের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

দ্য কোয়ারি ওয়েব ডেস্কঃ জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বা ন্যাশনাল সিকিউরিটি আক্ট (এনএসএ)-এ ডা কাফিল খানকে আটক করা হল। শুক্রবার আলিগড় পুলিশ সুপার (অপরাধ) ‘হিন্দুস্থান টাইমস’কে জানিয়েছেন, আলিগড়ের জেলাশাসক খানের বিরুদ্ধে এনএসএ জারি করেছে।

জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক মনে করলে এনএসএ প্রয়োগ করে কোনও ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন আটক রাখতে পারে সরকার।

উল্লেখ্য, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খানকে আগেই গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।সোমবার তাঁর জামিনও হয়। কিন্তু তাঁকে মুক্তি দেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ জারি করে তাঁর কারাবাসের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কেজরিওয়ালের শপথে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিটিজেনশিপ অ্যামান্ডমেন অ্যাক্ট (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে আলিগড় মুসলিম ইউনিভারসিটি (এএমইউ)-তে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জ্বালাময়ী ভাষণ দেওয়ার অপরাধে গতমাসে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে কাফিল খানকে গ্রেফতার করে আলিগড়ে নিয়ে আসে পুলিশ।

অভিযোগ, এএমইউ-তে তিনি সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রেখেছেন। সোমবার ৬০ হাজার টাকার বেল বন্ডে তাঁর জামিনও হয়। কিন্তু মুক্তি মেলেনি। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কাফিল খানের ভাই আদিল খান বলেন, ‘শুক্রবার সকালে কাফিলের বিরুদ্ধে এনএসএ জারির খবর আমরা জানতে পা্রি। এখন আর জেল থেকে ও বের হতে পারবে না। আমাদের কাছে এটা অপ্রত্যাশিত। কাফিলকে নরকে পাঠানোর টার্গেট নিয়েছে উওরপ্রদেশ সরকার’।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের ১৯৮৫ সালের একটি রায়ের উল্লেখ করে আদিল দাবি করেন, ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন, এমন কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এধরনের কঠোর আইন প্রয়োগ করা যায় না।

সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, জামিন হওয়ার পরও কাফিলের মুক্তি পেতে দেরি কেন হচ্ছে, তানিয়ে আলিগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সংবাদ শিরোনামে আসেন গোরক্ষপুর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা : কাফিল খান। অক্সিজেন সরবরাহকারীকে বকেয়া না মেটানোয় অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়ায় গোরক্ষপুর হাসপাতালে ৬০ শিশুর মৃত্যু হয়। নিজে উদ্যোগ নিয়ে বাইরে থেকে অক্সিজেন এনে শিশুদের জীবন রক্ষার চেষ্টা করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের সামনে হাসপাতালের অব্যবস্থা ও সরকারের উদাসীনতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রোষানলে পড়েন কাফিল খান। বরখাস্ত করা হয় এই চিকিতসককে।

মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। সাত মাস জেল খাটেন কাফিল খান। ২০১৮ সালের এপ্রিলে মুক্ত হন তিনি।

সিএএ বিরোধী বক্তৃতার জন্য ফের তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত জামিন মঞ্জুর করার পরও মুক্তি মেলেনি তাঁর। এখন তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ প্রয়োগ করেছে সরকার। ফের আটক করেছে তাঁকে।

সম্পর্কিত পোস্ট