কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ, আটক নৌশাদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ‘কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার সারা দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতারা। এদিন কৃষকদের সংহতিতে কলকাতাতেও রাজভবনের সামনে ধর্না দেয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং অখিল ভারতীয় কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির সদস্যরা। একইসঙ্গে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক হন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।
শনিবার সাত মাসে পা দিল দিল্লি উপকন্ঠে কৃষক আন্দোলন৷ একইদিনে ৪৬ বছরে পা দিল ইন্দিরা আমলে ৪৬ বছরের জরুরী অবস্থা। সারা দেশজুড়ে এই আন্দোলন কর্মসুচীতে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। হারিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লির পাশাপাশি রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলি। নিজ নিজ ভাষায় রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেবেন তাঁরা। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল মারফত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন কৃষক নেতারা।
এদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় শামিল হন অমল হালদার, সুভাষ নস্কর, সুশান্ত ঝাঁ এবং প্রবীর মিশ্র সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এদিন বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত নেতারা৷ তাঁরা জানান, কোনওরকম আলোচনা ছাড়া জোর করে তিন কৃষি আইন কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে সরকার।
রেজিস্ট্রেশনের পরেই মোবাইলে সার্টিফিকেট ! টিকা কেলেঙ্কারীতে জেরবার আমজনতা
এছাড়াও কৃষি আইন এবং বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল এনে কেন্দ্র সরকার কৃষি বিপনন এবং অত্যাবশ্যক পণ্য মজুত এবং সরবরাহ বিষয়টি একচেটিয়া পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছেন। কৃষকদের গোলাম বানানোর চেষ্টা করছে সরকার৷ এই আইনের ফলে কালোবাজারি বেড়ে যাবে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হবে।
এদিন দিল্লির কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় শামিল হন ভাঙড়ের আইএসএফ সাংসদ নৌশাদ সিদ্দিকি৷ তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।