জলস্বপ্ন প্রকল্পে একশ শতাংশ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগে নতুন মাইল ফলক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জলস্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় যেসব গ্রামে একশ শতাংশ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে, সেই গ্রামগুলিকে সজল গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর।
আর তাতে তৈরি হয়েছে নতুন মাইল ফলক।সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত মে থেকে অগস্ট পর্যন্ত ওই প্রকল্পের গতি বেড়েছে প্রায় ছ’গুণ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর জলস্বপ্ন প্রকল্পের বাজেটে কোনও কার্পণ্য করা হচ্ছে না। নির্ধারিত পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই প্রকল্পকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব।
সরকারি রিপোর্ট বলছে, মে (ওই মাসেই শপথ নিয়েছিল নতুন সরকার)-তে ঘরে ঘরে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ৪১ হাজার। জুনে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয় প্রায় ৮৩ হাজার। জুলাই এবং অগস্টে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে হয় যথাক্রমে প্রায় ১.৬৩ লক্ষ এবং ২.৩৮ লক্ষ।
উল্লিখিত প্রথম দু’মাসে গোটা দেশের মধ্যে বাংলার অবস্থান ষষ্ঠ হলেও জুলাই এবং অগস্টে তা হয় যথাক্রমে পঞ্চম এবং প্রথম। গত বছর থেকে এ-পর্যন্ত এই প্রকল্পে প্রায় ২১ লক্ষ ৬০ হাজার জল-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রতিটি গ্রামকে সজল গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
জল স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রামের দু’কোটি মানুষের কাছে পরিশুদ্ধ জল পৌঁছে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের অধীনে ৫৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ চলছে।
উৎসবের মরশুমে ৫০ শতাংশ গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে রেশন
বাংলার প্রতিটি ঘরে জলের সংযোগ পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী গত বছরের ৬ জুলাই এই প্রকল্পের সূচনা করেন। প্রকল্পের বাজেট মোট ৫৮ হাজার কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান দৈনিক জল সংযোগের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০ হাজার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে ১ কোটি ৬৩ লক্ষের মতো গ্রামীণ পরিবার রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২.১৯ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছেছে। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ৯৯৩.৮৮ কোটির মধ্যে ৪২৮.৩৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। চলতি বছর এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রের বরাদ্দ মিলিয়ে প্রায় ৫৭৭০ কোটি টাকা রয়েছে।