বিনিয়োগকারীদের জন্য নয়া উদ্যোগ সরকারের, শিল্পসাথী পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে  করা যাবে আবেদন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিনিয়োগকারীদের রাজ্যে নতুন শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার তাদের বিভিন্ন শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে থাকার জমির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। রাজ্যের শিল্প দপ্তর প্রস্তাবিত শিল্পপার্ক সহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এই জমির বিস্তারিত খতিয়ান সম্পর্কে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।

শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোন শিল্পের জন্য কি ধরনের জমি ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে তা জানাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রস্তাবিত তথ্যপ্রযুক্তি পার্কেও কি পরিমাণ জমি পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশকরা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতি সহ একাধিক দাবিতে বারাসাতে CMOH-র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ বামেদের

তিনি জানান যে সব জায়গার জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি হল,

  • পুরুলিয়ার, রঘুনাথপুরের প্রস্তাবিত জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী। যেখানে দুটি ধাপে ২৪৮৩ একর জমিতে শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
  • পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়াতে প্রস্তাবিত শিল্প পার্কে ২১৬ একর জমি রয়েছে।
  • নদীয়ার হরিণঘাটায় ১৫৮ একর জমি,
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের  পানাগড়ে  ২২১ একর জমি রয়েছে।
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে  বিদ্যাসাগর শিল্প পার্ক ৪৪০ একর জমি রয়েছে।
  • পুরুলিয়ায় রঘুনাথপুর স্টিল এবং অ্যালায়েড শিল্প পার্কের  জন্যে বরাদ্দ জমির পরিমাণ ৭৯০ একর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া,

  • সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মণিকাঞ্চনে আছে ৯টি মডিউল।
  • প্রতি মডিউল মিলিয়ে ১৩৪ থেকে ৫০০০ বর্গ ফিট জমি আছে৷
  • হাওড়া জেলার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটিতে জেমস এবং জুয়েলারি পার্ক নিয়ে ৪৬টি মডিউল আছে।
  • প্রতি মডিউলে ১২০০ থেকে ৫০০০ বর্গফুট জমি আছে।
  • বজবজ গারমেন্টস পার্কে ৮৮ মডিউলে  প্রায় ২৮০০ থেকে ৫১০০ বর্গফুট জমি শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।

এই সমস্ত জায়গায় যারা জমি নিতে ইচ্ছুক তারা শিল্পসাথী পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট