আরও একদফার অমীমাংসিত বৈঠক, পরবর্তী বৈঠক ১৯ তারিখ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ দেড় মাস ধরে দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক লক্ষ কৃষক। সেই আন্দোলনের ইতি টানতে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে নবম দফার বৈঠকে বসে কেন্দ্র। কিন্তু এদিনের বৈঠকও অমীমাংসিত রইল। ১৯ তারিখ ফের আরও এক দফার বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনের নেতারা।

 

এদিন বৈঠকের শেষে সর্বভারতীয় কিষাণ সভার নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, এটা আসলে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। সরকার চাইছে আইনে বদল আনতে কিন্তু আইন প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় থাকছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কমিটি গঠনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথা বলা হয়েছিল তাকেও কৃষকরা স্বাগত জানায়নি স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। একমাত্র কেন্দ্র এবং কৃষকদের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং রেলমন্ত্রী পী্যূষ গোয়েল। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আরও একবার কৃষকদের সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্রও এবং কৃষক বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু আজকের বৈঠকেও কোনও সমাধান মেটেনি। কৃষকদের তরফে আগেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেই প্রস্তাবে কৃষকরা রাজি হননি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার সর্বদা তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bhupinder-singh-mann-stepped-down-from-the-committee-formed-by-the-court/

একইসঙ্গে মঙ্গলবার কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করে এবং কমিটি গঠনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কৃষকরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানায়নি। কমিটির সদস্যরা সরকারের হয়েই কথা বলবেন জানিয়েছিলেন কৃষকরা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সরকার স্বাগত জানিয়েছে। যদি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান মেটানো সম্ভব হয় তাঁর জন্য সরকার সর্বদা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।

একইসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে স্পষ্ট লেখা ছিল তাঁরা কৃষি আইনের পরিবর্তন আনতে চাইছেন। যদি রাহুল গান্ধী সেটা ভুলে যান তাহলে আরও একবার ইস্তেহার পত্র পড়ে নেওয়ার দরকার।

অন্যদিকে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়িত জানিয়েছেন, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যহার করে সরকারের উচিত নুন্যতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।

১৭ তারিখ ফের আরও এক দফায় বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলি। ১৯ তারিখের বৈঠকের আগে নিজেদের মধ্যে বৈঠক সারতে চাইছেন কৃষকরা। ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির ভিতরে শান্তিপূর্ণ ট্রাক্টর র‍্যালি করবেন কৃষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট