ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ‘বাংলাদেশি নাগরিকত্ব’ তথ্য যাচাই করছে ঢাকা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কি বাংলাদেশের নাগরিক? এই বিতর্কে ঢাকা সরগরম। সূত্রের খবর, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, যিনি সদ্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে এসেছেন তাঁর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তথ্য যাচাই করবে।
অভিযাগের কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার হরিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছেই আছে উত্তর। এখানেই নাকি থাকতেন নিশীথ প্রামানিক, এমনই দাবি উঠছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের নাগরিকত্ব যাচাই করতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি লিখেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা।
উত্তরপূর্ব ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর, নিশীথ প্রামানিক বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন কয়েকবছর আগেও। তিনি কোন উপায়ে পশ্চিমবঙ্গে কী করে ঢুকলেন তা নিয়েও চর্চা প্রবল।
বিষ়যটি নিয়ে প্রাথমিক কিছু অনুসন্ধান করতে নামছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও প্রতিবেশি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত ইস্যুটি নিয়ে খুবই দেখেশুনে পদক্ষেপ নেবে ঢাকা।
বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের অধীন গাইবান্ধা জেলা। অভিযোগ উঠেছে, এখানকার বাসিন্দা নিশীথ প্রামাণিক পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। প্রথমে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। গত লোকসভা ভোটের আগে টিএমসি ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। জয়ী হন।
তাঁর সঙ্গে প্রকাশ্যে বেশ কয়েকবার বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট টিএমসি নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার নিশীথ প্রামানিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ইস্যুতে তৃণমূল নেমেছে কোমর কষে।
পর্যটকদের জন্য দিঘায় বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষা পরিষেবা শুরু
অভিযাগের কেন্দ্রে থাকা বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার হরিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছেই আছে উত্তর। কারণ, দাবি অনুসারে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বেশ কয়েকবছর আগেও। আরও অভিযোগ, নিশীথ প্রামানিক নাকি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন। তিনি আর বাংলাদেশে ফেরেননি।
অভিযোগ ঘিরে সরগরম বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কারণ, নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ অনুসারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বাংলাদেশ ত্যাগের সঙ্গে দেশভাগ বা মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাঁচানোর কোনও কিছু জড়িত নয়, তাই বিষয়টি স্পর্শকাতর।
ইস্যুটি নিয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কী রিপোর্টা দেন তাও লক্ষ্যনীয়। সূত্রের খবর, ঢাকা থেকে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।