নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসরের ইঙ্গিত নীতিশ কুমারের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এটাই আমার শেষ নির্বচান । পুর্ণিয়ার জনসভা থেকে ঘোষণা করলেন জেডিইউ নেতা এবং বিহার এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নীতিশ কুমার।

এর আগে বিহার থেকে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন কুমার৷ বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে হঠাৎ ইতি টানলেন কেন নীতিশ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

 

২০০৪ সাল অবধি বাজপেয়ী সরকারের কেবিনেট মন্ত্রী ছিলেন নীতিশ। ২০০৫ সাল থেকে ছিলেন বিহারের এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন নীতিশ কুমার। তারপর ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে বেছে নেওয়ায় এনডিএ ছেড়ে চলে আসেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।

২০১৫ সালে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট করে মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু সেই সরকার বেশীদিন টেকেনি। মত পালটে ফের এনডিএ শিবিরে ফিরে আসেন নীতিশ। বিজেপির সঙ্গে জোট করে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতিশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির সু্শীল মোদি।

২০২০ সালে বিহারের নির্বাচনে নীতিশ কুমারের জন্য বেশ কঠিন হবে। কারণ এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নীতিশ কুমারের সরাসরি লড়াই আরজেডি তথা মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। অন্যদিকে নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করছেন এনডিএ জোটের আরও একটি শরিক চিরাগ পাসোয়ানের লজপা।

বিহার বিধানসভা প্রচারের জন্য এটা শেষ দিন। একদিন পরেই বিহারের নির্বাচন শেষ হবে। এটা আমার শেষ নির্বাচন। “অন্ত ভালা তো সাব ভালা” জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার৷

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/looking-back-from-hathras-the-kings-luncheon-at-the-matua-community-in-the-state/

বিহারের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে তৃতীয় দফার নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নীতিশ কুমারকে বেছে নেওয়ার জন্য বিহারের মানুষকে খোলা চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

 

৭ নভেম্বর বিহারের ৭৮ টি আসনে রয়েছে নির্বাচন। এই এলাকাগুলি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা বলেই পরিচত। ১০ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা।

আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি নীতিশজির দ্বারা আর বিহার সামলানো হচ্ছে না। এখন নির্বাচনের শেষ দিনে এসে রাজনীতি থেকে অবসরের কথা বলছেন। হয়তো বিহারের অবস্থা উনি বুঝতে পেরেছেন। মন্তব্য করলেন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।

সম্পর্কিত পোস্ট