কাটল না জট, ফের বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে ৩৮ দিনের মাথায় পড়ল দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন। টানা ছয় দফার বৈঠকে ৫০ শতাংশ সমাধান বের হওয়ার পর সোমবার ফের সপ্তম দফার বৈঠকে বসে কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনগুলি।

কিন্তু এদিনের বৈঠকেও কাটল না জট। আইন প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় থাকলেন কৃষকরা। অন্যদিকে আইনে দল আনার প্রস্তাবে অনড় কেন্দ্র।

সোমবার বিজ্ঞানভবনে প্রায় ৪ ঘন্টার বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান না মেলায় ফের ৮ তারিখ কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, রেলমন্ত্রী পী্যুষ গোয়েল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম প্রকাশ। এদিন আইনে বদলের জন্য শুরু থেকেই প্রয়াস করেন কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি।

কিশান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা সারওয়ান পানধের জানিয়েছেন, এদিন কৃষি মন্ত্রী বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন নতুন আইনে কৃষকদের লাভ হবে। এমনকি আইন বদলের জন্য আরও একবার এবিষয়ে আলোচনার জন্য সরকার রাজি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছেন কৃষকরা।

আরও পড়ুনঃ চুক্তিভিত্তিক কৃষিতে প্রবেশের পরিকল্পনা নেই, আন্দোলনের মাঝে দাবী রিলায়েন্সের

টানা ৩৮ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন সারা দেশের কয়েক লক্ষ কৃষক। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে ৫৯ জন কৃষকের। এদিন বৈঠকের শুরুতেই তাঁদের উদ্দেশ্যে ২ মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়।

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে তিন কৃষি আইনে বদল আনার জন্য প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেয় সরকার পক্ষ। কিন্তু কৃষকদের তরফে বলা হয়, এর আগেও এই বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তাই আইন প্রত্যহারের বিষয়ে অনড় থাকছেন তাঁরা।

এরই মধ্যে মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে কমিটি গঠন করে সমস্যার সমাধানের কথা জানায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর জন্য দু’পক্ষ সমঝোতার পথে হাটতে বলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে।

গতবারের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছিলেন, কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে পরিবেশ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ এবং বিদ্যুতের বিল নিয়ে সমঝোতা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু এমএসপি এবং কৃষি আইন নিয়ে সমস্যা না মেটায় সোমবার বৈঠকে বসার কথা ছিল দু’পক্ষের। কিন্তু তাতেও জোট কাটল না। বরং সমাধান না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।

৬ জানুয়ারি কুন্ডলি-মানেশ্বর-পালওয়াল হাইওয়েতে ট্রাক্টর মিছিল করবেন কৃষকরা। এই আন্দোলন চলবে ১৫ দিন। এরপর ২৩ জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে সমস্ত রাজ্যের রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন কৃষকরা। এরপর ২৬ তারিখ ‘ট্রাক্টর কিষান প্যারেড’ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট