Imran Khan : অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ বললেন ডেপুটি স্পিকার, জটিল পরিস্থিতি গোটা দেশে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতিতে আজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ দিন। গোটা বিশ্ব দেখল পাকিস্তানের রাজনৈতিক নাটক। ভোটাভুটির কারণে পাকিস্তান ছিল উত্তাল, চলছিল দেশের একাধিক এলাকায় অশান্তি। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসলামাবাদে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
ইতিমধ্যে আজ সকাল ১১ টা নাগাদ শুরু হয় পাক সংসদে অধিবেশন। সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব (No Trust Motion) আনার কথা হয়। এই প্রস্তাব রাখার আগেই বাতিল হয়ে গেল পক সংসদে। ইমরান খান বলেছিলেন যে তিনি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়বেন।
বিশেষজ্ঞ মহল পর্যন্ত বলে উঠতে পারছেনা পরবর্তী মুহূর্তে পাকিস্তানের সংসদে(Pakistan National Aseembly) কী হতে পারে। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হওয়ার পর এবার প্রধানমন্ত্রী ( Imran Khan ) ভাষণ দিলেন নতুন নির্বাচনের।
ঠান্ডা যুদ্ধের স্মৃতি ফিরিয়ে মার্কিন ব্লকের বিরোধিতায় RIC গড়তে চায় রাশিয়া, ভারত কোথায় থাকবে?
Imran Khan
জাতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,” জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য আমি রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হওয়া উচিত।” শুধু তাই নয়, তিনি দেশবাসীকে নতুন করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতেও আহ্বান জানান।
পাক প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্যের সময় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ( Qasim Khan Suri) এই অনাস্থা প্রস্তাবের ঘটনাকে অসাংবিধানিক বললেন এবং প্রস্তাব বাতিল করলেন। সংসদের পাক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মোট ২২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৫ শে এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ মুলতুবি হয়ে গেল। অবশ্য রাজনীতিবিদদের মধ্যে আপাতত ইমরান খানের গদি সংরক্ষিত হলেও ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
তারা আরও সন্দেহ করছেন, এই অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত বিরোধীপক্ষ মেনে নেবে না। কারণ তাদের হিসেব অনুযায়ী ভোটাভুটি হলে ইমরান খানের সরকারের পতন এতক্ষণে ঘটে যেত। তাই জন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে।
এদিকে বিরোধীদের পক্ষে ইমরান খানের দলের একাংশ সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ( Imran Khan )। পাক সেনার সঙ্গে যে তার সম্পর্ক খুব ভালো তাও নয়। গত শনিবার প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে ইমরান খান জানিয়েছিলেন যে তিনি রবিবার বিরোধীদের মুখোমুখি হবেন। দেশের মানুষকে পথে নামার জন্য আহ্বানও দিয়েছিলেন।
এখন জল্পনা এই যে ইমরান খান ( Imran Khan ) হয়তো ভয় পেয়ে দেশবাসীকে পথে নামতে বলেছিলেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্রুত অদলবদলের ঘটনা বিশ্বের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল।