তৃণমূলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই, স্পষ্ট করলেন মিহির গোস্বামী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৩ অক্টোবর তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপর নিশীথ প্রামাণিকের আলোচনা এবং নিজ বাড়িতে শাসকদলের দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিন্তু মিহিরবাবুর অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়ে তুলেছিল।

বিগত কয়েকদিন নিজেকে অন্তরালে রাখার পর সোমবার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান জানিয়ে দিলেন মিহির গোস্বামী। তৃণমূলে তিনি আর ফিরবেন না স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক।

ব্লক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গে দুরত্ব বাড়ে তৃণমূল বিধায়কের। দলের সমস্ত পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন মিহির গোস্বামী। কিন্তু নীশিথের সঙ্গে তাঁর ‘সৌজন্য সাক্ষাৎকার’ এর পর বিজেপি যোগের জল্পনা বাড়তে থাকে।

এরপর তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে ফিরে আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং রাজ্যের অনগ্রসর এবং শ্রেণীকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন । এরপর অন্তরালে থেকে দলের প্রতি এবং পিকে আইপ্যাক সংস্থাকে ‘ঠিকাদার সংস্থা’ বলে ক্ষোভ উগরে দেন মিহিরবাবু।

সোমবার মিহির গোস্বামীর পার্টি অফিসে দেখা গেল নিজের নামের পোস্টার। সেখানে নেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলনেত্রির কোনও ছবি। এদিন দলবদলের প্রসঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক বলেন, অনেকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কোন দলে যাবেন তা এখনও ঠিক করেননি।

কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তিনি যে আর থাকবেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে দলনেত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এটাও সাফ জানিয়ে দেন মিহির গোস্বামী।

সম্প্রতি দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। উদয়ন গুহ বলেন, অনেক খেয়েছেন। আবার খাবেন। এখন ছয় মাস খাওয়া বন্ধ রাখুন। এই ছয় মাস মানুষকে খেতে দিন। নাহলে আর সুযোগ পাবেন না। একজন বিধায়কের মুখে কিভাবে এই কথা মানায়? প্রশ্ন তুলেছেন মিহিরবাবু।

এদিন নাম না করে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল আহমেদকে অর্ধশিক্ষিত বলে কটাক্ষ করেন মিহির বাবু। কারণ, মিহির বাবুর বিধায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য দাবী তুলেছেন তিনি। পাল্টা তিনি বলেন, যেদিন মুখ্যমন্ত্রী বলবে সেদিন ইস্তফা সিয়ে আসব।

মিহির বাবুর কথা প্রেক্ষিতে জলিল আহমেদ বলেন, মিহির গোস্বামী বলছেন উনি দলে থাকবেন কি চলে যাবেন ওটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে চলেছেন, তার বিরোধিতা তিনি করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ প্রতিম রায়কে জেলা সভাপতি করেছেন, তাই তাঁকে মেনে চলা দলের প্রতি কর্তব্য বলে দাবী করেন তৃণমূল নেতা।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মিহির গোস্বামী বলেন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাঁধবে সেটা জানা ছিলনা। আমি বেঁধেছি বাকিটা সময়ের ওপর ছেড়ে দিলাম।

সম্পর্কিত পোস্ট