দুর্গোৎসব থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না, রাজ্যবাসীকে বার্তা মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবেডেস্কঃ অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল দুর্গাপুজোকে ঘিরে নানান সাম্প্রদায়িক প্রচার করছে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে এবছর নাকি বাঙালি সেরা উৎভসব দুর্গাপুজোয় হবে না। আর তাই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্গোৎসব থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না।
উল্লেখ্য, এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল মহালয়া। এদিনই ট্যুইট করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি দূর্গাপুজো নিয়ে আশ্বাসও দেন তিনি।
একই সঙ্গে দিলেন ভাদু ও বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছা। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ট্যুইটে অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছেন রাজ্যের বারোয়ারি দুর্গাপুজোর সংগঠকেরা।
কারণ প্রশ্ন ঘুরছিল আদৌ এই বছর পুজো করা যাবে কি যাবে না তা নিয়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট সেই জটিলতা কাটিয়ে দিল। মহালয়াতেই হাসি ফুটল মানুষের মুখে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মোট চারটি ট্যুইট করেন। তার মধ্যে একটি ছিল বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে, একটি ভাদু পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং দুটি দুর্গাপুজো ও মহালয়া কেন্দ্রীক শুভেচ্ছা তথা আশ্বাস বার্তা।
প্রথম ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘ভাদু উৎসব উপলক্ষে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। পুরুলিয়া,মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান সহ অনেক জায়গায় পালিত হয় এই ভাদু উৎসব।’ পরের ট্যুইটে তিনি বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন যে, ‘শ্রমিক ভাই ও বোনেদের এবং তাদের পরিবার পরিজনদের বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছা জানাই। তারা আমাদের গর্ব। সমাজের উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন তারা।’
এরপরেই তিনি পুজো নিয়ে দু-দুটি ট্যুইট করেন। লেখেন, ‘করোনার জন্য সতর্কতার সঙ্গে উৎসব পালন করতে হচ্ছে। তবে দেখতে হবে, কোভিড যেন দুর্গাপুজোর উৎসাহকে দমিয়ে দিতে না পারে। মহালয়ার প্রতিশ্রুতি, কেউ দুর্গাপুজোর উৎসব থেকে বঞ্চিত হবেন না।’ বস্তুত মুখ্যমন্ত্রীর এই ট্যুইটেই কেটে গিয়েছে দুর্গাপুজো নিয়ে যাবতীয় আশঙ্কা।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/on-his-70th-birthday-narendra-modi-hit-the-social-media-with-the-countrys-unemployment/
এবারে মহালয়া পড়েছে ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে। সেই হিসাবে এইদিনই বিশ্বকর্মা পুজো, রান্না পুজো ও ভাদু পুজো। সাধারণত মহালয়ার ৭ দিনের মাথায় সপ্তমীতে দুর্গাপুজো শুরু হয়।
কিন্তু এ বছর ‘মলমাসের কারণে পুজো এক মাসেরও বেশি পিছিয়ে গেছে। কারণ, সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মলমাসে কোনও পুজো বা কোনও শুভ কাজ হয় না।
তাই এ বছর পুজো পিছিয়ে গেছে ৩৫ দিন। এবছর সপ্তমী পড়ছে ২৩ অক্টোবর। অর্থাৎ, আশ্বিনের বদলে পুজো হবে কার্তিক মাসে। যদিও এটাই প্রথম বার নয়।
১৯৮২ এবং ২০০১ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে স্মরণঅতীত কালে একদিনে চার চারটি পুজো পড়ার ঘটনা চট করে অনেকেই মনে করতে পারছেন না।