চুক্তিভিত্তিক কৃষিতে প্রবেশের পরিকল্পনা নেই, আন্দোলনের মাঝে দাবী রিলায়েন্সের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সরগরম পরিস্থিতি। টানা ৩৮ দিন ধরে প্রবল ঠান্ডা এবং বৃষ্টিপাতের মধ্যেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে বিতর্কিত আইনের যোগসূত্র থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিল রিলায়েন্স। রিলায়েন্সের তরফে জানানো হয়েছে, কৃষি আইনের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজে কোনও আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন রিলায়েন্স সংস্থা।
পাল্টা সংস্থার বেশ কিছু সম্পদকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ তুলে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। জিনিসপত্র সুরক্ষা এবং সার্ভিস চালু রাখার জন্য দুই সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে রিলায়েন্স সংস্থা। রিলায়েন্সের তরফে বলা হয়েছে, সংস্থার যোগাযোগ পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে হাজার হাজার কর্মীর জীবন সংকটের মুখে পড়েছে।
পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজের ক্ষেত্রে রিলায়েন্স রিটেল লিমিটেড, জিয়ো ইনফোকম এবং রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের কোনও আগ্রহ নেই বলে স্পষ্ট করেছে ওই সংস্থা। দেশের কোনও চাষের জমি কেনেনি রিলায়েন্স, দাবী সংস্থার। দেশের ১৩০ কোটি কৃষকদের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে বলে জানিয়েছে রিলায়েন্স।
গত সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। গত ৩৮ দিন পরেও একাধিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকরা। কৃষকদের তরফে জানানো হয়, এই নতুন আইন এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ করতে চাইছে। যার ফলে লাভ হবে আম্বানি এবং আদানিদের। কম দামে ফসল কিনে মজুত রেখেই পরে বেশী দামে বিক্রি করে লাভ তুলতে চাইছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে এবং টেলিকম টাওয়ারগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্ষোভ উগড়ে দেন কৃষকরা। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবী করে রিলায়েন্স।
আরও পড়ুনঃ সমাধান না মিললে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যালি, জানালেন কৃষকরা
শুধুমাত্র পাঞ্জাবের রিলায়েন্স জিয়োর ১৫০০ এর বেশী টেলিকম টাওয়ার ভাংচুড় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রিলায়েন্সের একাধিক দফতরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর রুখতে সরকারের পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে রিলায়েন্স। এরকম ঘটনা যাতে না না হয় তার জন্য সতর্ক করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যদিও এবিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ঘটনায় একাধিক যোগাযোগ সংযোগকারী জিনিসপত্র নষ্ট করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুই রাজ্যের কয়েক হাজার কর্মীদের ভবিষ্যত এই মুহুর্তে প্রশ্নও চিহ্নের সম্মুখে। দাবী রিলায়েন্সের। তাঁদের দাবী সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রিলায়েন্স বিক্রি করলেও সরাসরি কৃষকদের থেকে তাঁরা কিছু কেনেন না। বরং এজেন্ট মারফত তা সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা যাতে সঠিক এমএসপিতে ফসলের মূল্য পান সেবিষয়ে নিশ্চিত করতে এজেন্টদের নির্দেহস দিয়েছে কোম্পানি।
এমএসপির বিষয়ে কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছে রিলায়েন্স। এই দাবীতে প্রশ্নও তুলেছে কিসান একতা মঞ্চ। দাবী পূরণ না হওয়া অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষকরা।