নেই ভ্যাক্সিন, দিকে দিকে জারি বিক্ষোভ ….
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার তরফে জানানো হয় পানিহাটির লোকসংস্কৃতি ভবনে দেওয়া হবে ভ্যাক্সিন। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন আমজনতা।
বুধবার সকালে পুরসভার তরফে জানানো হয় ভ্যাকসিন অমিল। তাই করা যাবে না টিকাকরণ। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। অবরোধ করা হয় সোদপুর বারাসাত রোড।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আজ কলকাতায় আসছে কোভিশিল্ডের ১০ লক্ষ ডোজ। বাগবাজারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্টোরে রাখা হবে ৪ লক্ষ ডোজ। ৬ লক্ষ ডোজ রাখা হবে হেস্টিংসে কেন্দ্রীয় স্টোরে।
করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বিধ্বস্ত গোটা দেশ, অসচেতনতার ছবি ধরা পড়লো বসিরহাটেও। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এখনও পর্যন্ত সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৮৮। সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন, যদিও করোনায় এখনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বসিরহাটে।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় মোট ৪৫টি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ চলছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল সহ মোট ১০টি ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও টীকাকরণ চলছে।
প্রতিটি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন নূন্যতম ১০০ জনকে টিকাকরণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সেই টিকাকরণ প্রক্রিয়াতে প্রতিদিন মোট ৪৫০০টি করে টিকাকরণ হচ্ছে। কোনো কোনো দিন সেই সংখ্যাটা ৫০০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এখনও পর্যন্ত আগামী ২৯শে এপ্রিল অবধি টিকা মজুত আছে। তারপর টিকাকরণ প্রক্রিয়া কিভাবে চলবে?
‘প্রতীকি’ শাহী স্নান ! কুম্ভমেলায় অংশ নিলেন ২৫ হাজার পুণ্যার্থী
সেই প্রশ্নের উত্তরে বসিরহাট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিন ঢুকবে, টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালু রাখা যাবে।”
টিকাকরণ কেন্দ্রে দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে মানুষ টিকা নিতে হাজির হচ্ছে। ফলে টিকা নিতে গিয়েও করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশাসন নির্বিকার।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে একটি হেল্প লাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। ৬২৯৬১৯৪৩৫৪ নম্বরে করোনা আক্রান্ত রোগীরা ফোন করে যাবতীয় সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারবে।
পাশাপাশি একটি মেডিক্যালটিমও তৈরী রাখা হয়েছে। যারা ফোন পাওয়া মাত্রই বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে।