সাংসদের লোকসভায় ৭ টি বিধানসভার কোথাও কী দেখা গেছে তাঁকে? প্রশ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মানুষের দুঃসময়ে শুধু ভিডিও করে স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেই কাটিয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। জেলার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

শুক্রবার নিজের কোচবিহার শহরের বাড়ির অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় প্রথম থেকেই ত্রান নিয়ে যে মানুষের পাশে ছিলেন তা জানিয়ে করোনা মোকাবিলা, রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন।

সমালোচনা করেন বাম- কংগ্রেসের মত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিরও। এরপরেই কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে ত্রানের কাজে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি বলেন, “কাউকে কোথাও বাধা দেওয়া হয় নি। যারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, তারা নিয়ম মেনে ত্রাণ দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু উনি তো কখনও ছবি এঁকে, স্যানিটাইজার বানিয়ে সেগুলোর ভিডিও করেই কাটিয়েছেন।আর স্যোসাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেছেন।

আগামী ৯ জুন থেকে খুলছে হাইকোর্ট, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবে মামলার শুনানি

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এদিন সরাসরি সাংসদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, এগুলো কি কোন সাংসদের কাজ? তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে ৭ টি বিধানসভা রয়েছে। ওই এলাকার কোথাও কি তাঁকে দেখা গিয়েছে?”

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, “কোচবিহারের সাংসদ ও বিজেপি নেতা কর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন, আছেন থাকবেনও। বিজেপি এই জেলার দেড় লক্ষ মানুষকে বারবার সহযোগিতা করেছে। আর সাংসদ যখন মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তখন বাধা দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান আন্দোলনও করেছেন সাংসদ। এটা শুধু কোচবিহারে নয়, গোটা রাজ্যের চিত্র। আসলে রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন মানুষ চায় ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে এই জেলার যত মন্ত্রীরা আছেন, তাঁরা পদত্যাগ করুক।”

সম্পর্কিত পোস্ট