উত্তর এখন উত্তর-পূর্বের?
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়লাভের পর বড় প্রাপ্তি মিলেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। একাধারে শিক্ষা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই নিট ইস্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ৷ প্রশ্নের মুখে শিক্ষা মন্ত্রক। সংসদের অন্দরে এবং সংসদের বাইরে, দীর্ঘ প্রশ্নের তালিকার সম্মুখীন হয়ে কার্যত পর্যদুস্ত সরকার৷ এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে আরও একবার রাজনীতির মোড় ঘোরাতে চাইলেন মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেই সাক্ষাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মিল দেখিয়েছেন৷ সেকারণেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের দাবি জানিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সাক্ষাতের পর তিনি আশাবাদী রাজ্য সরকার এবিষয়ে তার সঙ্গে সমঝোতার রাস্তাতেই এগোবে।
যদিও তৃণমূলের তরফে সুকান্তর এই মন্তব্য সংবিধানের পরিপন্থী নয় বলেই দাবি করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, যে সংবিধানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রীপদে শপথ নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, সেই সংবিধানকেই মানছেন না। তাঁর কথায়, আলাদা করে উত্তরবঙ্গ বলে কিছু নেই। আসলে ওই আটটি জেলা পশ্চিমবঙ্গেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
তৃণমূলের এই বক্তব্যের জবাবে সুকান্ত বলেন, জনবিন্যাসে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মিল রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ৫৪ টি মন্ত্রালয় রয়েছে। তার উন্নতিকল্পে ১০ শতাংশ যদি অর্থ বরাদ্দ করা হয় আখেরে লাভ হবে বাংলারই৷ তবে আলাদা করে তিনি কখনই উত্তরবঙ্গের দাবি করেননি তিনি। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও একটি প্রস্তাবপত্র দিয়েছেন বলেও দাবি করেন মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
১৯ এর লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে বিধানসভা নির্বাচনে চমকপ্রদ ফলাফল করেছে বিজেপি। তাই বারবার বিজেপির নজর রয়েছে উত্তরবঙ্গের দিকেই। এর আগে অবশ্য বারবার আলাদা করে উত্তরবঙ্গের দাবি তোলা হলেও তাতে একমত হননি রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ৷ এখন সুকান্ত মজুমদারের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেলবন্ধন নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ বারবার উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার কথা তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তারই মধ্যে সুকান্তর এই নতুন প্রস্তাব নিয়েও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে৷