জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পালিত হল ২১ জুলাই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে পালিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস পালন কর্মসূচী। ২১শে জুলাই মঙ্গলবার বালুরঘাট শহরের নারায়ণপুর এলাকায় শহীদ দিবস পালন করে বালুরঘাটের তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন বালুরঘাটের পাবলিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহর কমিটির সভাপতি সুভাষ চাকী। একই সঙ্গে অস্থায়ী শহীদবেদীতে মাল্যদানও করেন তিনি।
এদিনের এই শহীদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, তৃণমূল নেতা দেবাশিষ মজুমদার, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বালুরঘাট শহর কমিটির সভাপতি মহেশ পারেখ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বালুরঘাট শহর কমিটির সভাপতি অমরনাথ ঘোষ।
এরপর ভার্চুয়াল সভা শুরু হলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে আরও একবার ২১শে জুন ২০২১ অবধি ফ্রি-তে রেশন প্রদান করার প্রসঙ্গের অবতারণা করে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন ২০২১ সালে আমাদের সরকার আসলে সারা জীবন ফ্রি-তে রেশন ফ্রি-তে পড়াশুনা করার সূযোগ পাবেন।
বাংলায় আইনশৃঙ্খলা না থাকলে কোথায় আছে? উত্তর প্রদেশে কী চলছে? জঙ্গলরাজ বললেও কম হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী
এরপরেই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুশিয়ারি দিয়ে বলেন কেন্দ্রের বঞ্চনা করার বদলা আমরা মানবিকতা দিয়ে নেব।
জায়েন্ট টিভিতে ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য শুনে এদিন করতালি দিয়ে স্বাগত জানান বালুরঘাটের তৃণমূল কর্মীরা। একইসঙ্গে এদিন ২১শে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভার মধ্য দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করারও নির্দেশ দেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের।
অন্যদিকে, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ মেনে একযোগে মালদা তৃণমূল কার্যালয়ে সংলগ্ন এলাকাতেই পালিত হল একুশে জুলাই শহীদ দিবস কর্মসূচি । মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল জনসভা দেখার জন্য বসানো হয়েছিল জায়েন্ট স্ক্রীনের ব্যবস্থাও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাষণ শুরু হওয়ার আগেই মালদা শহরের স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকার নূর মেনশন ভবনের সামনেই তৃণমূল দলের পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর।
উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের মহিলা দলের সভানেত্রী চৈতালি সরকার, কাউন্সিলর শুভদীপ সান্যাল, তৃণমূল নেতা ছোটন মল্লিক সহ অন্যান্যরা।
এদিন সম দূরত্ব বজায় রেখে এবং মুখে মাক্স পরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয় নুর মেনশন ভবনের সামনেই সারিবদ্ধ ভাবে দীর্ঘক্ষণ তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাষণ শোনার জন্য অপেক্ষা করেন দলের নেতাকর্মীরা।
জায়েন্ট স্কিনের মাধ্যমে সরাসরি মমতা ব্যানার্জি জনসভার ভাষণ সম্প্রচারিত করা হয়। একুশে জুলাই উপলক্ষে গোটা শহর কার্যত তৃণমূলের পোস্টার-ব্যানারে মুড়ে ফেলা হয়েছিল।
১৬ তে বাজিমাত করেছিল খাদ্যসাথী, ২১ এ কী তবে ফ্রি রেশন মন্ত্র?
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য শোনার জন্য তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে বহু নেতাকর্মীরা ভিড় করেছিলেন। কিন্তু প্রত্যেকেই সমদূরত্ব বজায় রেখেই এদিনের একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাষণ শুনতে আগ্রহী হন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য মৌসুম নূর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একুশে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে জনসভার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের যেরকম নির্দেশ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়।
এদিন জেলা স্তরের সমস্ত নেতাকর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর এই ভার্চুয়াল জনসভা দেখানো হয়েছে । করোনা সংক্রমণের মধ্যে এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি সবরকম নির্দেশিকা মেনেই এদিনের এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। শহীদ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য এবং মাল্যদান কর্মসূচী এবং শোকজ্ঞাপন পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা ভক্তি সহকারে একুশে জুলাই পালিত হল করা হয় কোচবিহারেও। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রত্যেকটি বুথে অঞ্চলে শহীদ দিবস পালন করা হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের উপস্থিতিতে।
প্রতিবছর যেখানে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় একুশে জুলাই যোগদান করে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী আজ শহীদ দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ।