বন্যা নয়, নদী বাঁধ ভাঙন হল অসমের বড় শত্রু দাবী প্রাক্তন মুখ্যসচিবের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকবছর ধরে বন্যার সঙ্গে কঠিন লড়াই করছে অসম। পাশাপাশি নদী বাঁধ ভাঙনের সমস্যাও এই মুহুর্তে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অসমের জন্য।
নদী বাঁধ ভাঙনের কারণে ভিটেহারা হয়েছেন বহু মানুষ। বন্যার পাশাপাশি বাঁধের ভাঙন নিয়ন্ত্রণে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন অসমে প্রাক্তন মুখ্যসচিব সিকে দাস।
দ্য অসম ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৬০ লক্ষ বিঘা জমি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অসমে জমির পরিমাণ তুলনামূলক অনেক কম। প্রায় ১০ লক্ষ অসমের মানুষ ভূমিহারা হয়েছেন বলে দাবী প্রাক্তন আইএএস অফিসারের।
প্রাক্তন মুখ্যসচিবের মতে এই মুহুর্তে বন্যার তুলনায় ভুমিক্ষয় অসমের সবচেয়ে বড় সমস্যা। বন্যা হলে বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তাঁর নিজ বাসস্থানে ফিরে যেতে পারবেন। কিন্তু ভুমিক্ষয় হলে সেখানকার বাসিন্দাদের নিজেদের বাসস্থানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
২৪ ঘন্টায় ৪৫ হাজারের গন্ডি ছাড়াল আক্রান্তের সংখ্যা, নতুন রেকর্ড ভারতের
১৮৯৭ এবং ১৯৫০ এর ভুমিকম্পের পর ব্রহ্মপুত্রের তলদেশের উচ্চতার পরিবর্তনে কারণে নদীর জলধারণ ক্ষমতা আগের তুলনায় কমে গিয়েছে। তাই নদী ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করে। যার কারণেই নদী ভাঙন ব্যাপক পরিমাণে বেড়েই চলেছে।
প্রাক্তন মুখ্যসচিব বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে অসম সরকারের উচিত নদী ভাঙনের বিষয়টিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া।
তাহলে সেখানকার মানুষ সরকারি অনুদান পেয়ে উপকৃত হবেন। অন্য বাসস্থান খুজে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরও অনেকটা সুবিধা হবে।
একইসঙ্গে সিকে দাস বলেন, নদী বাঁধ ভাঙন নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচিত গঠনমূলক ভুমিকা নেওয়া। গোটা বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা এবং সাধারণ মানুষকে এবিষয়ে অবগত করা৷